ঢাকা: ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) সবচেয়ে বড় পরিসরে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে ৩১ জানুয়ারি। আর এতে ভোট পড়েছেও তুলনামূলকভাবে সবচেয়ে বেশি।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ২১৬টি ইউপিতে মোট ৩১ হাজার ২২৩ ইভিএম ব্যবহার হয়েছে। এই পরিমাণ ইভিএম আর কোনো নির্বাচনে ব্যবহার হয়নি। এর আগে ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনের সময় ২৮ হাজার ৮৬৮টি মেশিন ব্যবহার করা হয়েছিল। কিন্তু ঢাকার সিটির চেয়েও এবার ভোট পড়েছে দিগুণেরও বেশি।
ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখা জানিয়েছে, ২১৬টি ইউপিতে ভোটার সংখ্যা ৪০ লাখ ৬৯ হাজার ৫৩৮ জন। ভোট পড়েছে ২৮ লাখ ১০ হাজার ৬৮০টি। অর্থাৎ ভোট পড়ার হার ৬৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
২০২০ সালের ১ ফেব্রয়ারি অনুষ্ঠিত ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ৩০ শতাংশেরও কম। সে সময় দুই সিটিতে ভোট পড়েছিল ২৭ দশমিক শতাংশ। এর মধ্যে ঢাকা উত্তর সিটি নির্বাচনে ভোট পড়েছিল ২৫ দশমিক ৩০শতাংশ এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ভোট পড়েছিল ২৯ দশমকি ০৭ শতাংশ।
এছাড়া ইভিএমে যত নির্বাচন হয়েছে তার প্রায় সকল নির্বাচনেই ভোট পড়ার হার ৬০ শতাংশের গণ্ডি পেরোতে পারেনি। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও ৫৬ দশমিক ৩২ শতাংশ ভোট পড়েছে।
ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন আঙুলের ছাপ না মেলায় ইভিএমে ভোট নিতে ধীরগতির সৃষ্টি হয়। সেটা না হলেও ভোট পড়ার হার আরো বেড়ে যেত।
এ বিষয়ে ইসি সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকার জানিয়েছেন, ইভিএমে ভোটদানে ধীরগতি হলে অনেক ভোটার ফিরে যান। তারা যাতে না ফিরে যান, সেজন্য করণীয় নির্ধারণে ট্যাকনিক্যাল কমিটির সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০১, ২০২২
ইইউডি/এসআইএস