ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১৫ শাওয়াল ১৪৪৫

নির্বাচন ও ইসি

ভোটের আগে সংসদ অকার্যকর রাখার পরামর্শ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১২৮ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
ভোটের আগে সংসদ অকার্যকর রাখার পরামর্শ

ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে সংসদের অধিবেশন না রাখার জন্য বললেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাস উদ্দিন। এক্ষেত্রে ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বরের পর থেকেই অধিবেশ না রাখার পরামর্শ তার।

 

মঙ্গলবার (২২ মার্চ) নির্বাচন ভবনের নির্বাচন কমিশন (ইসি) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়ে তিনি এ মতামত দেন। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালের সভাপতিত্বে বৈঠকে তিন নির্বাচন কমিশনার, ইসির সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া আমন্ত্রিত ৩৯ জন বিশিষ্ট নাগরিকদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ১৯ জন।  

ফরাস উদ্দিন বলেন, ভোটের-আগে পরে ছয় মাস নির্বাচনকালীন কর্তৃত্ব কমিশনের কাছে থাকা উচিত। ২০২৩ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে একাদশ সংসদের অধিবেশন থাকবে না। এক্ষেত্রে ভোটের আগে চার মাস, ভোটের পরে দুই মাস; এ ছয় মাস ইসির হাতে ক্ষমতা থাকতে পারে।  

ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়েও তিনি মতামত জানান।

ফরাস উদ্দিন বলেন, ইভিএম সব সময় বিতর্কিত। এই বিতর্কের সমাধান না করে ব্যবহার করা ঠিক নয়। জোরের সঙ্গে বলবো- ইভিএম ব্যবহার না করার জন্যে।  

সংলাপের অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা এবং ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, সাবেক সচিব আবু আলম মো. শহীদ খান, আলী ইমাম মজুমদার, ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌস, সাবেক সচিব আব্দুল লতিফ মণ্ডল, নিজেরা করি’র কো-অর্ডিনেটর খুশী কবির, বাংলাদেশ ইনডিজিনিয়াস পিপলস ফোরাম সাধারণ সম্পাদক সঞ্জীব দ্রং ও সেন্টার ফর আরবান স্টাডিজ (সিইউএস) চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, ঢাবি আইন বিভাগের অধ্যাপক হাফিজুর রহমান কার্জন, গভর্নেন্স অ্যান্ড রাইট সেন্টারের প্রেসিডেন্ট জহুরুল আলম, ঢাবি গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক শামীম রেজা, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব মহিউদ্দীন আহমেদ।  

গত ১৩ মার্চ শিক্ষাবিদদের সঙ্গে সংলাপ করে নির্বাচন কমিশন। ওইদিনও আমন্ত্রিতদের মধ্যে এক-তৃতীয়াংশ শিক্ষাবিদ সাড়া দেননি।  

বর্তমান কমিশন গত ২৬ ফেব্রুয়ারি নিয়োগ পাওয়ার পর ২৭ ফেব্রুয়ারি শপথ গ্রহণ করে। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তারা দায়িত্ব বুঝে নিয়েই সংলাপের উদ্যোগ নেয়।

সংলাপে বসে শিক্ষাবিদরা দলগুলোকে আস্থায় আনার উদ্যোগ গ্রহণ, ভোটার ও বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে ইভিএম ব্যবহার, দলগুলোর সব স্তরের কমিটিতে ৩৩ শতাংশ নারী সদস্যপদ পূরণে ব্যবস্থা গ্রহণ, ইসির নিজস্ব কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনের সময় আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীগুলোকে ইসির অধীন রাখাসহ একগুচ্ছ সুপারিশ করেন।

এরপর গণমাধ্যম, নারী নেত্রী ও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপে বসবে সংস্থাটি। কাজী হাবিবুল আউয়ালের বর্তমান কমিশনের অধীনেই অনুষ্ঠিত হবে আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন। এক্ষেত্রে ২০২৩ সাল থেকেই শুরু হয়ে যাবে নির্বাচনের প্রস্তুতি।

বাংলাদেশ সময়: ০১২৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০২২
ইইউডি/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।