ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

কুসিক ভোট: ১১৪ ঘণ্টা অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২২৩ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
কুসিক ভোট: ১১৪ ঘণ্টা অস্ত্র বহন নিষিদ্ধ

ঢাকা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের এলাকায় বৈধ অস্ত্রবহন ও প্রদর্শনের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান সম্প্রতি নির্দেশনাটি পাঠিয়েছেন।

এতে বলা হয়েছে— কুসিক নির্বাচনী এলাকায় ১৩ জুন ভোর ৬টা থেকে ১৭ জুন দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত মোট ১১৪ ঘণ্টার জন্য আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্সধারীদের জন্য আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ চলাচল নিষিদ্ধ থাকবে।

এছাড়া ১৩ জুন দিবাগত রাত ১২টা থেকে ১৭ জুন দিবাগত রাত ১২টা পর্যন্ত নির্বাচনী এলাকায় কোনো ব্যক্তি কোনো জনসভা আহ্বান, অনুষ্ঠান বা তাতে যোগদান করতে এবং কোনো মিছিল বা শোভাযাত্রা সংঘটিত করতে বা তাতে যোগদান করতে পারবেন না। এ বিষয়ে রিটার্নিং অফিসার স্থানীয়ভাবে ব্যাপক প্রচারের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

আগামী ১৫ জুন কুসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মেয়র পদে ছয়জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন— বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত আরফানুল হক রিফাত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. রাশেদুল ইসলাম, স্বতন্ত্র হিসেবে কামরুল আহসান বাবুল, মো. মনিরুল হক সাক্কু (বিএনপি নেতা ও দুইবারের মেয়র), মোহাম্মদ নিজাম উদ্দিন ও মাসুদ পারভেজ খান। এদের মধ্যে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মাসুদ পারভেজ খান মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। অর্থাৎ মেয়র পদে ভোটের লড়াইয়ে রয়েছেন পাঁচ জন প্রার্থী।

এছাড়া কাউন্সিলর পদে ১৪০ জনের মতো প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এ নির্বাচনে ৫ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ড ও ১০ নম্বর সাধারণ ওয়ার্ডের দু’জন কাউন্সিলর প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

২০১৭ সালের ৩০ মার্চ সর্বশেষ কুসিক নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল ওই বছর ১৭ মে। ভোটগ্রহণ করার শেষ সময় ছিল চলতি বছরের ১৬ মে। কিন্তু বিগত কমিশন বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসায় আর তফসিল দেয়নি। ফলে অতি অল্প সময়ের জন্য স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়কে এই সিটি পরিচালনায় দায়িত্ব দিতে হয়েছে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে। নির্বাচনের পর নতুন মেয়র দায়িত্ব গ্রহণ করা পর্যন্ত তিনি করপোরেশন পরিচালনা করবেন।

২০১৭ সালের নির্বাচনে বিএনপি নেতা মনিরুল হক সাক্কু দ্বিতীয়বারের মতো এ সিটিতে নির্বাচিত হয়েছিলেন। কুসিকের প্রথম নির্বাচনে ২০১২ সালে তিনিও জয়লাভ করেছিলেন। প্রথমবার বিএনপি নির্বাচন বর্জন করায় সাক্কু স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হয়েছিলেন। পরেরবার বিএনপির টিকিটে ধানের শীষ প্রতীক নিয়েও জয়লাভ করেন। এবারও বিএনপি নির্বাচন বর্জন করেছে এবং আজীবন দল থেকে বহিষ্কার করায় সাক্কু হয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।

দুটি পৌরসভাকে একীভূত করে ২০১১ সালে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠন করে সরকার।

বাংলাদেশ সময়: ২২২২ ঘণ্টা, জুন ১২, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।