ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ডিসিদের পাশাপাশি অন্যদেরও রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগের ভাবনা

ইকরাম-উদ দৌলা,সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
ডিসিদের পাশাপাশি অন্যদেরও রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগের ভাবনা

ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের ক্ষেত্রে বড় ধরনের পরিবর্তন আনার পরিকল্পনা করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পাশাপাশি অন্য মন্ত্রণালয়/বিভাগ থেকেও কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া হতে পারে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন যে কোনো মন্ত্রণালয় থেকে ডিসিদের সম মর্যাদার কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ দিতে পারে। এর আগে ড. এটিএম শামসুল হুদার কমিশন ডিসিদের পাশাপাশি ইসির নিজস্ব লোকবলদের মধ্য থেকে সীমিত রিটার্নিং কর্মকর্তা সীমিত আকারে নিয়োগ করেছিলেন। তবে সরকারের অন্যান্য মন্ত্রণালয় বা বিভাগে কর্মকর্তাকে আনেননি। এবার সেটি হলে দেশের নির্বাচনের ইতিহাসে প্রথম এমন ঘটনা ঘটবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাচন কমিশনার জানিয়েছেন, স্বচ্ছ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আমরা সবকিছুই মাথায় রাখছি। এক্ষেত্রে কেবল ডিসি কেন, আমরা হয়তো পুলিশ প্রশাসন থেকেও এ দায়িত্বে আনতে পারি। বিএসএস কর্মকর্তা কেবল জনপ্রশাসনে আছে তাতো নয়।

গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ-১৯৭২ এ বলা হয়েছে- সরকারের উপ-সচিব পদ মর্যাদার যে কোনো কর্মকর্তাকে সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করতে পারবে নির্বাচন কমিশন। এই ক্ষমতা বলেই উপ-সচিব পদ মর্যাদার নিজস্ব দক্ষ কর্মকর্তাদের রিটার্নিং কর্মকর্তা ইতোপূর্বে নিয়োগ করেছে ইসি। এবার সেই ক্ষমতা বলেই পুলিশসহ যে কোনো বিভাগ থেকেই উপ-সচিব পদ মর্যাদার কর্মকর্তাকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করতে চায় সংস্থাটি।

এ বিষয়ে অন্য এক নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা হয়তো আমাদের নিজস্ব কর্মকর্তাদেরও আগের চেয়ে বেশি হারে নিয়োগ করতে পারি। এছাড়া সরকারের অন্যান্য বিভাগ থেকেও আনতে পারি। এতে কোনো অসুবিধা নেই।

ইতোমধ্যে বিভিন্ন দল ডিসিদের পরিবর্তে ইসির নিজস্ব লোকবল থেকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগের কথা বলা হচ্ছে। আবার কোনো কোনো দল ডিসিদের পাশাপাশি ইসির দক্ষ কর্মকর্তাদেরই কেবল এ পদে আনতে বলছেন। একই দাবি বিভিন্ন মহল থেকেও ওঠে এসেছে গত দশ বছরে। তবে এটিএম শামসুল হুদা কমিশনের পর সাধারণ নির্বাচনে আর কোনো কমিশন সীমিত পরিসরেও নিজস্ব লোকবলকে রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করেনি। তবে উপ-নির্বাচনে নিয়োগ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রায় এক যুগ পর ফের একই চিন্তা করছে কাজী হাবিবুল আউয়াল কমিশন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বর্তমানে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন নিয়ে সংলাপ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। কয়েকটি দলের ওই দাবির পরিপ্রক্ষিতে সংলাপ শেষে আলোচনার ভিত্তিতে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানিয়েছেন সিইসি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০২২
ইইউডি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।