ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

ডিসি মমিনুরকে ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিচ্ছে ইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
ডিসি মমিনুরকে ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিচ্ছে ইসি

ঢাকা: চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে ভোটের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তার বিরুদ্ধে পরবর্তীতে তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হতে পারে।

রোববার (১৮ সেপ্টেম্বর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, মোহাম্মদ মমিনুর রহমানকে আমরা রিটার্নিং কর্মকর্তার পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শিগগিরই আপনারা জানতে পারবেন। উনাকে আমরা রাখবো না। সরিয়ে দেব।

তাৎক্ষণিকভাবে অন্য কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া কঠিন। এজন্য তদন্ত হতে হবে। এটা লঘু শাস্তি নয়। এই মূহূর্তে করণীয় একটাই, তাকে সরিয়ে দেওয়া। পরবর্তীতে পরেরটা দেখা যাবে। এখন কাজ হলো উনাকে সরিয়ে দিয়ে উপযুক্ত অন্য একজনকে নিয়োগ দেওয়া, যোগ করেন রাশেদা সুলতানা।

সম্প্রতি জেলা পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত এক চেয়ারম্যান প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিতে এলে ডিসি মমিনুর রহমান ওই প্রার্থীর পক্ষে মোনাজাত ও ভোট চেয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশিত হলে নির্বাচন কমিশন সরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয় কামনা করে মোনাজাতে অংশ নেন জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে রাশেদা সুলতানা বলেন, বিদ্রোহী যারা আসছে তারা একই দলেরই। দীর্ঘদিন ধরে একটা জেলা পরিষদ নির্বাচন নাই। তারপর প্রশাসক আসলো। এই অবস্থায় তো চলা যায় না। প্রশাসক আর নির্বাচিত প্রতিনিধির মধ্যে কিন্তু অনেক পার্থক্য আছে। মন্ত্রণালয় থেকে বলার পর আমরা নির্বাচন দিলাম। আমাদের কাজ শুরু নির্বাচনটা নামানো। তাই দলীয়ভাবে হচ্ছে না কি হচ্ছে সেটা দেখার দায়িত্ব আমাদের নয়। একজন দাঁড়াচ্ছেন, আরেকজন দাঁড়াচ্ছেন না। কাজেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়াটা বে-আইনি নয়। আবার নির্বাচন কেউ অংশ নিতে পারবে না, এমন অবস্থার তৈরি হয়েছে, তাতো নয়। আমরা চাচ্ছি সবাই নির্বাচনে আসুক। কিন্তু কেউ যদি না আসে, কেমন করে তাদের আমরা আনবো?

এ কমিশনার আরও বলেন, দেশে অনেক ঘটনাই ঘটছে, তা কারোই আকাঙ্ক্ষিত নয়। ছোটবেলায় আমরা দেখেছি স্থানীয় নির্বাচন দলীয় নয়। কিন্তু অলিখিতভাবে অনেক কিছু হয়ে যায়। এটা বন্ধ করা কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোরই কাজ। এটা নির্বাচন কমিশনের কাজ নয়। কোথাও কোনো অনিয়ম হলে এখন আমরা নির্দ্বিধায় আমাদের সিদ্ধান্ত নেব। আওয়ামী লীগ-বিএনপি এগুলো কিন্তু আমরা আমলে নেবো না। ইতিপূর্বেও আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৩০ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২২
ইইউডি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।