ঢাকা: আসন্ন ফরিদপুর-২ আসনে উপনির্বাচনের অনিয়মের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বিচার বিভাগীয় ‘নির্বাচনী তদন্ত কমিটি’ গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এই কমিটি যে কোনো অনিয়মের তদন্ত সাপেক্ষে শাস্তি দিতে ইসির কাছে সুপারিশ করবে।
ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালামের বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশে ৯১(এ) ধারার ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন, আইন ও বিচার বিভাগ, আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে একাদশ জাতীয় সংসদের শূন্য ঘোষিত ফরিদপুর-২ আসনের নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন-পূর্ব অনিয়ম প্রতিরোধে ও নিয়ন্ত্রণের লক্ষ্যে নির্বাচনী তদন্ত কমিটি গঠন করা হলো।
নির্বাচনী পূর্ব সময় বলতে তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের ফলাফল গেজেট আকারে প্রকাশ করার সময় পর্যন্ত বোঝায়।
ফরিদপুরের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মো. নাছির উদ্দিন এবং সিনিয়র সহকারী জজ কাঞ্চন কুমার কুণ্ডুর সমন্বয়ে গঠন করা হয়েছে এই কমিটি।
আগামী ৫ নভেম্বর এই উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই শেষে শাহাদাব আকবার লাবু চৌধুরী (আওয়ামী লীগ), মো. জয়নুল আবেদীন বকুল মিয়া (বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলন), মো. আলমগীর মিয়া (জাতীয় পার্টি), জামাল হোসেন মিয়া (স্বতন্ত্র) বৈধতা পান। এছাড়া মো. কামরুজ্জামান (স্বতন্ত্র), মো. আবদুল কাদের (স্বতন্ত্র) বাতিল হয়।
এদিকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ১৯ অক্টোবর আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জামাল হোসেন মিয়া ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী আলমগীর মিয়া তাদের মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নেন।
ফরিদপর-২ সংসদীয় আসনের মোট ৩ লাখ ১৮ হাজার ৪৭৯ জন ভোটার রয়েছে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন-ইভিএমে।
সদ্য প্রয়াত সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরীর মৃত্যুতে গত ১১ সেপ্টেম্বর সংসদীয় এ আসনটি শূন্য ঘোষণা করা হয়। ২৬ সেপ্টেম্বর তফসিল ঘোষণা করেন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তফসিল অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার প্রার্থীরা প্রতীক নিয়ে প্রচারের নেমেছেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২২
ইইউডি/এসএ