ঢাকা: আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মাঠ প্রশাসনে ব্যাপক রদবল করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একই সঙ্গে আস্থার জায়গাটাও তৈরি করবে সংস্থাটি।
রোববার (১৩ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে এমন ঈঙ্গিত দিলেন নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।
৩০০ আসনের নির্বাচনে মাঠের বাস্তবতায় ইসির ভূমিকা কী হবে, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা আমরা ইতোমধ্যে বলেছি, সিসি ক্যামেরা থাকবে তিন লক্ষাধিক। টেকনিক্যালি এটা সম্ভব। আবার বাস্তবতাও আছে যে যাকে দায়িত্ব দিলাম তার চোখ যে ফাঁকি দেবে না, তার চোখকে তো আমি বিশ্বাস করতে পারি না। বাস্তবতার বিষয় আছে। ওগুলো বিবেচনায় নিয়েই আমাদের এগোতে হবে। সিসি ক্যামেরা দিলে কিন্তু এমনিতেই সচেতন হয়ে যায়।
অন্য এক প্রশ্নের জবাবে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, আমরা তফসিল ঘোষণার পর সবকিছু তো আমাদের নিয়ন্ত্রণেই চলে আসবে। অতীতেও মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে। কাজেই সময়ই বলে দেবে কখন কী করবো। এখনো যথেষ্ট সময় আছে। আস্থার জায়গাটাও তৈরি করবো।
তিনি বলেন, আমরা বাস্তবতার আলোকে বিষয়টা বিবেচনায় নেবো। এখনো যথেষ্ট সময় আছে। টাইম ইজ দ্য বেস্ট হিলার। আশবাদী যে, সবাই নির্বাচনে আসবে। কারণ নির্বাচনে অনেক সমীকরণ আছে। সময় যত ঘনিয়ে আসবে এগুলো আরও স্পষ্ট হবে।
আনিছুর রহমান বলেন, ডিসেম্বরের শেষ থেকেই জানুয়ারির শুরুর মধ্যেই শিডিউলটা থাকবে। পুনর্নির্বাচনের সময় রাখতে হবে। জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই চেষ্টা করবো। তবে এগুলো নিয়ে আমরা কমিশন বৈঠকে আলোচনাই করিনি। তবে আমরা এমনিতে ভেবে নিয়েছি জানুয়ারির প্রথম উইক থেকে ডিসেম্বরের লাস্ট উইকের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন করতে হবে। আমাদের ব্রেথিং টাইম রাখতে হবে। কারণ উপ-নির্বাচন হতে হবে। দলগুলোর হয়তো হিসেব আছে নির্বাচন নিয়ে। আপনাদেরও হিসেবে আছে। তবে আমরা এখনো বসি নাই।
তিনি আরও বলেন, এখনো অনেক সময় আছে নির্বাচনের। আদৌ কী হবে দুর্ভিক্ষ, না মহামারি হবে কিনা, সেটা তো জানি না।
দুর্ভিক্ষ হলে কি নির্বাচন হবে—এমন প্রশ্নের জবাবে আনিছুর রহমান বলেন, দ্বৈব দুর্বিপাক কি কভার করে না দুর্ভিক্ষ? কাজেই এটা হলে তো সারা পৃথিবীতেই হবে। হলে তখন বোঝা যাবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৩, ২০২২
ইইউডি/এমজেএফ