ঢাকা: আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে যেন গাইবান্ধার ঘটনা পুনরাবৃত্তি না হয়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. আবদুল বাতেনকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) নির্বাচন কমিশনার বেগম রাশেদা সুলতানা এ তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, রংপুরে আমরা গাইবান্ধার মতো নির্বাচন চাই না। এজন্য রিটার্নিং অফিসারসহ সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশন কখনোই এ ধরনের নির্বাচন চায় না। এজন্য প্রশাসনসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীগুলোর সহযোগিতা লাগবে। নির্বাচনের আগে রংপুর গিয়ে বৈঠক করে নির্দেশনা ও পরামর্শ দেওয়া হবে। সে সময় প্রিজাইডিং কর্মকর্তা ও সহকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করবো।
গত ১২ অক্টোবর গাইবান্ধা-৫ উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরায় ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পাওয়ায় নির্বাচন কমিশন ৫০টি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেয়। এরপর রিটার্নিং কর্মকর্তাও একটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে ভোটের যৌক্তিকতা না থাকায় দুপুরের আগেই পুরো নির্বাচন বন্ধ করে দেয় নির্বাচন কমিশন, যা বাংলাদেশের ইতিহাসের প্রথম কোনো ঘটনা। এর আগে কোনো কমিশন এ ক্ষমতা প্রয়োগ করেনি।
তফসিল অনুযায়ী, রসিক ভোটে মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষদিন ২৯ নভেম্বর, মনোনয়নপত্র বাছাই ১ ডিসেম্বর, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ৮ ডিসেম্বর, প্রতীক বরাদ্দ ৯ ডিসেম্বর এবং ভোটগ্রহণ করা হবে ২৭ ডিসেম্বর।
সকাল সাড়ে আটটা থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এ সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে মোতাবেক এ সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৫, ২০২২
ইইউডি/আরআইএস