ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

গাইবান্ধা-৫: অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহেই ব্যবস্থা

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৩০ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
গাইবান্ধা-৫: অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহেই ব্যবস্থা

ঢাকা: বন্ধ ঘোষিত গাইবান্ধা-৫ আসনের উপ-নির্বাচনে অনিয়মে জড়িতদের বিরুদ্ধে আগামী সপ্তাহে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বুধবার (১৬ নভেম্বর) নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘গাইবান্ধার প্রতিবেদনের দ্বিতীয় দফায়ও বেশ কিছু অনিয়ম পাওয়া গেছে। ১৭টির মতো কেন্দ্রে অনিয়ম পাওয়া গেছে। ’
অনিয়মে ডিসি-এসপিরা জড়িত কি না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘যদি কেউ জড়িত থাকে, আগামী সপ্তাহের মধ্যেই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব, কার বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে না হবে। অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সবার অপরাধ সমান নয়। যার যার অপরাধ অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ’

ইসি আনিছুর বলেন, ‘অনিয়ম তো হয়েছেই। কেউ তো অস্বীকার করছে না। মিডিয়াতেও এসেছে। অনিয়ম হয়েছে, বিধিতে যা আছে সে শাস্তিই হবে। অপরাধের মাত্রা দেখে শাস্তি নির্ধারিত হবে। সরাসরি আমরা শাস্তি দিতে পারব না। কিছু কিছু মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিতে হবে। ’

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের সর্বোচ্চ ক্ষমতা অ্যাপ্লাই করব। তফসিলের পর সবকিছুর নিয়ন্ত্রণ আমাদের কাছে চলে আসবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যত ধরনের প্রচেষ্টা, আমরা অব্যাহত রাখব। গাইবান্ধায় আবার ফ্রেশ নির্বাচন হবে। ব্যবস্থা আগে নিই। তারপরই সব ঠিক হয়ে যাবে। ’

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘অপরাধী হয়তো বিশাল সংখ্যক। তিরস্কার করাও কিন্তু শাস্তি, সেটাও হতে পারে। কিছু কিছু আমরা নিজেরাই করতে পারব। কিছু আছে তাদের নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে। তাদের কর্তৃপক্ষ অপরাধের মাত্রা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। ডিসি-এসপির কতটুকু সম্পৃক্ততা আছে, সেটা দেখে ব্যবস্থা নেব। আগামী সপ্তাহে একেবারে ডিটেইল পেয়ে যাবেন। এজেন্টরা যে নিজেরাই ভোট দিতে গিয়েছেন, ইনফ্লেুয়েন্স করেছেন, এটা তো আমরা দেখেছি। নির্বাচনি এজেন্টের দায় তো প্রার্থীর ওপরেই বর্তায়। ’

এই নির্বাচন কমিশনার আরও বলেন, ‘আইন দেখেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্মকর্তাদের মধ্যে কেউ আছে শিক্ষক, তাদের বিরুদ্ধে তো আমরা ব্যবস্থা নিতে পারব না। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়কে আমরা বলব। তারা কিন্তু আমাদের অবহিত করবে। সরাসরি ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয় আইনে না থাকলে তো করা যাবে না। আইনে যেভাবে আছে সেভাবেই করতে হবে। সে অনুযায়ী আমরা যদি সুপারিশ পাঠাই, তাহলে তারা (অপরাধীর নিয়োগকারী কর্তৃপক্ষ) তা করতে বাধ্য। কোন ব্যত্যয় করার সুযোগ তাদের নেই। আইন তো সবাইকে মানতে হবে। ’

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৬, ২০২২
ইইউডি/আরএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।