কক্সবাজার: আগামী ১২ জুন অনুষ্ঠেয় কক্সবাজার পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিলর ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। তবে এবার দলীয় মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন দুইবার মনোনয়ন প্রাপপ্ত বর্তমান মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান।
এর আগে দুইবার আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মেয়র পদে নির্বাচন মুজিবুর রহমান। তিনি ২০১৮ সালে মেয়র পদে জিতলেও এর আগের বার হেরে যান। অপরদিকে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের সাবেক জেলা সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান চৌধুরী তিনবার তিন নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর ছিলেন।
এই দুইজন ছাড়াও দলীয় মনোনয়ন ফরম জমা দিয়েছিলেন, সাবেক পৌরমেয়র নুরুল আবছার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাসেদুল হক রাশেদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য রাশেদুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক আবদুল খালেক এবং জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি ইশতিয়াক আহমেদ জয়।
কক্সবাজার শহরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে প্রভাবশালী হিসেবে পরিচিত মুজিবুর রহমান কেন বাদ পড়লেন এ নিয়ে চলছে নানা বিশ্লেষণ।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, মুজিবুর রহমান মেয়র ও দলীয় পদে আসার পর দলের দুই সংসদ সদস্য ও কয়েকজন নেতার সঙ্গে বিরোধ, ভূমি অধিগ্রহণে দুর্নীতি, পরিবারে প্রকাশ্যে বিরোধের কারণে এবার তিনি দলীয় মনোনয়ন পাননি।
কক্সবাজার পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ নজিবুল ইসলাম বলেন, কেন্দ্রে মেয়র মুজিবুর রহমান ও প্যানেল মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরীর নাম পাঠানো হয়েছিল।
দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, সাম্প্রতিক বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দলের কয়েকজন নেতা কেন্দ্রে মুজিবুর রহমানের বিরুদ্ধে তৎপর ছিলেন। এতে প্রধানমন্ত্রীর কাছেও নানা বার্তা পাঠানো হয়েছে। এ কারণে মনোনয়ন পরিবর্তন হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে তফসিল ঘোষণার পরই মুজিবুর রহমানকে ছাড় না দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মাশেদুল হক রাশেদ।
তিনি মুজিবুর রহমানের আপন চাচাতো ভাই এবং জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি প্রয়াত একেএম মোজাম্মেল হকের বড় ছেলে।
সম্প্রতি জেলা পরিষদের নির্বাচন ও পৌর আওয়ামী লীগের সম্মেলনকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরম পর্যায়ে পৌঁছায়। জেলা পরিষদে দলীয় প্রার্থী মোস্তাক আহমদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন রাশেদের ভাই শাহীনুল হক মার্শাল। তার আরেক ভাই কাইছারুল হক জুয়েল সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান।
তিনি পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু এ পদে তিনি জিততে পারেননি।
নির্বাচন ও দলীয় সম্মেলনে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মেয়র মুজিবুর রহমান তাদের বিরোধিতা করে আসছেন বলে মনে করেন তারা।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৫২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৭, ২০২৩
এসবি/এএটি