আদলতের তাগাদার পর গত ১৫ জুন সংশ্লিষ্ট জেলা নির্বাচন কর্মকর্তাকে অনতিবিলম্বে মতামত পাঠানোর জন্য নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, ২০০৮ সালের পূর্বের কোনো সংসদ নির্বাচনেরই ভোটার তালিকা সংরক্ষিত নেই।
সংস্থাটির নির্বাচন সহায়তা শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বাংলানিউজকে জানান, আদালত অনেক সময় বিভিন্ন নির্বাচনের ভোটার তালিকা চেয়ে তাগাদা দেন। কিন্তু ভোটার তালিকা কোথাও পাওয়া যায় না। কেননা, অফিসিয়ালি আগের ভোটার তালিকাগুলো নষ্ট করে ফেলা হয়েছে। বর্তমানে ২০০৮ সালের পূর্বের কোনো ভোটার তালিকাই আর সংরক্ষিত নেই।
জানা গেছে, ইসির কাছে ২০০৮ সালের পূর্বের কোনো সংসদ নির্বাচনের ভোটার তালিকা না থাকলেও কোনো কোনো কর্মকর্তা ব্যক্তিগত উৎসাহে কিছুকিছু সংরক্ষণ করেছেন। আদালত চাইলে সেগুলোই খুঁজে দেখা হয়। এ ক্ষেত্রে যা পাওয়া যায় সেগুলোই পাঠানো হয়। তবে ওইসব তালিকা ইসির আনুষ্ঠানিক তালিকা নয়।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল ২০১৪ সালের নভেম্বরে নির্বাচন কমিশনের কাছে ১৯৭০ সালের নির্বাচনের তথ্যও চেয়েছিলেন। তখন সংস্থাটি নিজেদের কাছে সংরক্ষিত কোনো তথ্য দিতে পারেনি। সে সময় এ এস এম সামছুল আরেফিনের লেখা ‘বাংলাদেশের নির্বাচন (১৯৭০-২০০৮)’ শীর্ষক গ্রন্থ থেকে তথ্য সরবরাহ করা হয়েছিল।
এ বিষয়ে ইসির উপ-সচিব পর্যায়ের এক কর্মকর্তা বলেছেন, যেহেতু ভোটার তালিকা হালনাগাদের পর আগের তালিকার কোনো কার্যকারিতা থাকে না, তাই পূর্বের তালিকা সংরক্ষণ করা হয়নি। তবে ২০০৮ সালের পর থেকে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এখন ভোটারদের জন্য একটি ডাটাবেজও আছে। কাজেই এখন আর কোনো সমস্যা নেই। আগের তালিকাগুলোর জন্য অনেক কাগজ ব্যবহার করা হতো। সেসব সংরক্ষণ করাও মুশকিল ছিল।
আরও পড়ুন:
’৭১ পরবর্তী নির্বাচনের ভোটার তালিকা চেয়েছে আইসিটি
সত্তরের প্রার্থীদের তথ্য চায় ট্রাইব্যুনাল
ট্রাইব্যুনালকে সত্তরের প্রার্থীদের তথ্য দিলো ইসি
বাংলাদেশ সময়: ০৫৩৪ ঘণ্টা, জুন ১৭, ২০১৭
ইইউডি/এমআইএইচ