ঢাকা, সোমবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন

সবার অংশগ্রহণ চায় ইসি, সহায়তার আশ্বাস উন্নয়ন সহযোগীদের

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৮২৯ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
সবার অংশগ্রহণ চায় ইসি, সহায়তার আশ্বাস উন্নয়ন সহযোগীদের বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, অতীতে অনেক ভাল নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে। সবাই অংশ নিলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। সব দল অংশগ্রহণ করলে এবারও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব।

মঙ্গলবার (২০ জুন) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে দাতা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি। ইউএনডিপি’র রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেট রবার্ট ডি ওয়াটকিনসের নেতৃত্বে প্রায় দেড় ডজন দেশের প্রতিনিধিরা  নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী বৈঠক করেন।

ইসি’র পক্ষে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি’র সচিব এবং দাতা সংস্থাগুলোর পক্ষে কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, চীন, ফ্রান্স, ইইউ, জার্মানি, ভারত, জাপান, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, সুইডেন, ত‍ুরস্ক, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের দূতাবাসের প্রতিধিরা বৈঠকে অংশ নেন।

সিইসি বলেন, ‘আমাদের আইন-কানুন সংশোধন, সীমানা পুনর্বিন্যাস, ভোটার তালিকা হালানাগাদ, কেন্দ্র পুনর্বিন্যাস- সামনে এ কাজগুলো আছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের সামর্থ্য আমাদের আছে কি-না- বৈঠকে জানতে চেয়েছেন তারা। উত্তরে আমরা বলেছি- আমাদের হাতে অনেকগুলো আইন আছে। অতীতে অনেক ভালো নির্বাচনের ইতিহাস রয়েছে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) অধীনে। সবাই অংশ নিলে নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়। সব দল অংশগ্রহণ করলে এবারও সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন সম্পন্ন করা সম্ভব’।

কে এম নুরুল হুদা বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য আমরা কারিগরি সহযোগিতা চাই। এছাড়াও নির্বাচনের আগে ভোটার, প্রার্থী ও ইসি- কার কি দায়িত্ব, তা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো হবে। এক্ষেত্রে তারা প্রচারণা উপকরণ প্রস্তুতে সহায়তা করবেন’।

বৈঠকে উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) বা স্মার্টকার্ড দিতে চলমান ইসি’র ‘আইডেন্টিফিকেশন সিস্টেম ফর অ্যানহেন্সিং অ্যাকসেস টু সার্ভিস (আইডিইএ)’ প্রকল্পটি নিয়ে আলোচনা হয়। দাতা সংস্থার সহায়তায় আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হতে যাওয়া প্রকল্পটির মেয়াদ বাড়াতে চায় নির্বাচন কমিশন।

‘স্মার্টকার্ড বিতরণের ক্ষেত্রে চোখের আইরিশ ও দশ আঙ্গুলের ছাপ দেওয়ার মেশিন কিনতে আর্থিক সহায়তা চাই। তবে এগুলো ছাড়াও স্মার্টকার্ড দেওয়া সম্ভব। তাই আমরা প্রকল্পটি আরো বাড়াতে চাই’- বলেন সিইসি।

তিনি বলেন, ‘যদিও নির্বাচনের সঙ্গে স্মার্টকার্ডের সম্পর্ক নেই। তবু আমরা সংসদ নির্বাচনের আগে সবার হাতে স্মার্টকার্ড তুলে দিতে চাই’।

বৈঠকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি বলেও জানান সিইসি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার আরো বলেন, ‘নির্বাচনকালীন সরকার কি হবে, এ বিষয়ে তারা জানতে চেয়েছিলেন। আমরা বলেছি, এ নিয়ে ইসি’র কিছু করার নেই। এটি সরকারের সিদ্ধান্ত’।

সংবাদ সম্মেলনে  ইউএনডিপি’র রেসিডেন্ট কো-অর্ডিনেট রবার্ট ডি ওয়াটকিনস বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আমাদের ২১ বছরের সম্পর্ক। আমরা নির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করতে সকল ধরনের কারিগরি সহায়তা করতে চাই’।

নির্বাচনী কালীন সরকারের বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়েছে কি-না- এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি আমাদের বিষয় নয়। এটি সরকারের বিষয়। আমাদের কাজ হচ্ছে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে। আমরা মনে করি, কমিশনের নির্দিষ্ট আইন আছে, এ দিয়েই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব। তবে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সবার অংশগ্রহণ প্রয়োজন’।

বাংলাদেশ সময়: ১৪২৬ ঘণ্টা, জুন ২০, ২০১৭
ইইউডি/এএসআর
** তরুণদের স্মার্টকার্ডের জন্য নতুন দাতা সংস্থায় ইসি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।