ঢাকা: কুমিল্লা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে পরিকল্পিতভাবে হারানো অভিযোগ তুলেছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক (সাক্কু)। অভিযোগ তুলে মনিরুল হক বলেন, নির্বাচনের ঘোষিত ফলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবো।
বুধবার (১৫ জুন) রাতে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে ভোটের ফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মনিরুল হক সাংবাদিকদের এই কথা বলেন।
জানা গেছে, ভোটের ফল ঘোষণার শেষ পর্যায়ে এসে তুমুল হট্টগোল হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তা ফল ঘোষণায় বিরতির কথা বললে প্রতিবাদ করেন বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত মনিরুল হকের সমর্থকেরা। ফল ঘোষণার দাবিতে ভোটের ফল ঘোষণা কেন্দ্রে অবস্থান নেন মনিরুল। পরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আরফানুল হকের (রিফাত) একদল অনুসারী সেখানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেন। এতে ফল ঘোষণা কিছুক্ষণ বন্ধ রাখার পর আরফানুলকে বেসরকারিভাবে মেয়র নির্বাচিত ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. শাহেদুন্নবী চৌধুরী। মনিরুলের চেয়ে ৩৪৩ ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী দেখানো হয়েছে আরফানুলকে।
এই ফল ঘোষণার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় মনিরুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন তার প্রথম পরীক্ষায় বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়ে ফেলেছে। ফলাফল ঘোষণা দেরী করে সরকারের সঙ্গে আঁতাত করে পরিকল্পিতভাবে আমাকে হারানো হয়েছে। আমি এই ফলাফলের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেব। ’
২০০৫ সাল থেকে কুমিল্লা নগরের উন্নয়নে নেতৃত্ব দিয়ে আসছেন মনিরুল হক। ওই বছর প্রথম কুমিল্লা পৌরসভা নির্বাচনে চেয়ারম্যান হন তিনি। এরপর কুমিল্লা সিটি করপোরেশন গঠিত হওয়ার ২০১২ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন তিনি।
এবার বিএনপি স্থানীয় সরকার নির্বাচন বর্জন করায় মনিরুলের সামনে দল ও নির্বাচন—দুটির একটিকে বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। নগরের উন্নয়নে কাজ করে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে মেয়র প্রার্থী হন তিনি। স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনিরুল লড়ছিলেন টেবিল ঘড়ি প্রতীক নিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৪১ ঘণ্টা, জুন ১৬, ২০২২
জিসিজি/আরইউ