ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

মৃত্যুবার্ষিকীতে চট্টগ্রামে নায়ক মান্নার স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
মৃত্যুবার্ষিকীতে চট্টগ্রামে নায়ক মান্নার স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত

ঢাকাই সিনেমার প্রয়াত নায়ক মান্নার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মান্না ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির উদ্যোগে এক স্মরণসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৪টায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব এস রহমান হলে এ স্মরণ সভার আয়োজন করা হয়।

এতে বেতার ও টেলিভিশন উপস্থাপিকা দিলরুবা খানমের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন মান্না ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সভাপতি ও বিশিষ্ট কলামিস্ট মুহাম্মদ এনামুল হক মিঠু। প্রধান বক্তা ছিলেন অত্র কমিটির সাধারণ সম্পাদক মো. রাকিব হোসাইন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ চলচিত্রের চিত্রনায়ক পংকজ বৈদ্য (সুজন), বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের প্রধান চিত্রগ্রাহক আহম্মেদ রিয়াজ খান (তাকী), বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক হুমায়ুন আহমেদ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা চলচিত্র জগতের মহানায়ক মান্নার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, মেহনতী মানুষের জন্য কাজ করে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন মহানায়ক মান্না। এ সময় প্রয়াত মান্নার মৃত্যুর রহস্য সঠিক তদন্তের মাধ্যমে উদঘাটন করে সঠিক বিচারের দাবি করেন বক্তারা।  

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন মান্না ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিটির সহ-সভাপতি জামাল উদ্দীন, সহ-সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক হিরো, অর্থ সম্পাদক রাসেল, প্রচার সম্পাদক জোবাইর বিন জিহাদী, তথ্য সম্পাদক হাসান মাহমুদ।

জনপ্রিয়তার শীর্ষে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের আজকের দিনে মৃত্যুবরণ করেন মান্না। সেই হিসেবে শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) মান্নার ১৫তম মৃত্যুবার্ষিকী।

১৯৬৪ সালের ১৪ এপ্রিল টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন মান্না। ১৯৮৪ সালে এফডিসির নতুন মুখের সন্ধান কার্যক্রমের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে নাম লেখান তিনি।

মান্নার চলচ্চিত্রে অভিষেক হয় কাজী হায়াৎ পরিচালিত ‘পাগলী’ সিনেমার মাধ্যমে। সিনেমাটি ১৯৮৫ সালে মুক্তি পায়। এরপর বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করলেও মান্না নায়ক হিসেবে সফলতা পান ১৯৯১ সালে মুক্তি প্রাপ্ত ‘কাশেম মালার প্রেম’ সিনেমা দিয়ে। এরপর একের পর এক ব্যবসায় সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করে নিজেকে সেরা নায়ক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেন মান্না।

এক সময় মান্নার সিনেমা মানেই ছিল হলভর্তি দর্শক আর সফল ব্যবসায়। দেশের চলচ্চিত্র যখন অশ্লীলতা নিয়ে সংকটে পড়েছিল, তখন সুস্থ ধারার চলচ্চিত্র নির্মাণের অঙ্গীকার নিয়ে মান্না গঠন করেন ‘কৃতাঞ্জলী চলচ্চিত্র’ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থা। প্রযোজক হিসেবেও সফল হয়েছিলেন এ নায়ক। তার প্রযোজনায় তৈরি হয় ‘লুটতরাজ’, ‘স্বামী-স্ত্রীর যুদ্ধ’, ‘দুই বধূ এক স্বামী’, ‘মনের সাথে যুদ্ধ’সহ অনেক ব্যবসায় সফল ও প্রশংসিত সিনেমা।

২০০৩ সালে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘বীর সৈনিক’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন মান্না। তার অভিনীত ‘আম্মাজান’ সিনেমা বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসায় সফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে অন্যতম। এ সিনেমাটির জন্য তিনি ১৯৯৯ সালে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে বাচসাস পুরস্কার পান।

মান্না অভিনয় করার পাশাপাশি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দেশের চলচ্চিত্রের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে গেছেন।

জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় ২০০৮ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন ঢালিউডের এ মহাতারকা। তার প্রয়াণে ঢাকাই সিনেমায় যে ক্ষত তৈরি হয়, তা এ ১৫ বছরে কমেনি এক বিন্দু।

বাংলাদেশ সময়: ২০২০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৩
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।