‘বাঁকুড়া মাটিকে পেণাম করি দিনে দুপুরে’ কিংবা ‘লাল পাহাড়ির দ্যাশে যা’ সংগীতপ্রেমী মানুষমাত্রই এই গানগুলো সঙ্গেই পরিচিত। সুর শুনলেই গুনগুনিয়ে গেয়ে ওঠেন।
তবে এই সুর ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মেদিনীপুর বিভাগের বাঁকুড়ার মাটি থেকে গোটা বাংলায় ছড়িয়ে দেওয়ার কাণ্ডারি আর নেই। শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কলকাতায় মারা গেছেন বাঁকুড়ার লোকসংগীত শিল্পী সুভাষ চক্রবর্তী।
জানা গেছে, মৃত্যুর সময় সুভাষ চক্রবর্তীর বয়স হয়েছিল ৭১ বছর। ভক্তদের শেষ শ্রদ্ধার জন্য শনিবার বিকেল থেকে রবীন্দ্রসদনে রাখা হয়েছে তার মৃতদেহ।
সম্প্রতি কলকাতাতেই স্থায়ীভাবে বসবাস শুরু করেন সুভাষ চক্রবর্তী। বেশ কিছুদিন ধরে বয়সজনিত কারণে রোগে ভুগছিলেন এই লোকশিল্পী। অবশেসে শনিবার তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বাঁকুড়ার ভাদু, টুসু, ঝুমুরকে ভালোবেসে এই সংগীতের লোকগানকেই বেছে নিয়েছিলেন সুভাষ চক্রবর্তী। আর তাতেই পেয়েছিলেন আকাশছোঁয়া সাফল্য। বাঁকুড়ার বেলিয়াতোড় থেকে সুভাষ চক্রবর্তীর সুর ছড়িয়ে পড়েছিল বিশ্বের নানা প্রান্তের বাঙালিদের মাঝে।
প্রচুর গান লিখেছেন, সুরারোপ করেছেন, গেয়েছেন সুভাষ চক্রবর্তী। তার সুরারোপিত ‘লাল পাহাড়ির দ্যাশে যা’ গানটি বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। ‘বাঁকুড়া মাটিকে পেণাম করি দিনে দুপুরে’সহ একাধিক জনপ্রিয় গানের স্রষ্টা লালমাটির এই ভূমিপুত্র।
বাংলাদেশ সময়: ১৮০৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২৩
এনএটি