শক্তিমান অভিনেতা ফজলুর রহমান বাবু। ক্যারিয়ারে নানামুখী চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
বৃহস্পতিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ঢাকার আগারগাঁওয়ের বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের হল অব ফেম মিলনায়তনে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১ প্রদান করা হয়। এ সময় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ২০২১- বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এবার রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত প্রযোজিত ও পরিচালিত সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ‘নোনাজলের কাব্য' চলচ্চিত্রে প্রভাবশালী চেয়ারম্যানের চরিত্রে নিখুঁত অভিনয়ের জন্য ‘শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে’র পুরস্কার গ্রহণ করেন ফজলুর রহমান বাবুকে।
এ নিয়ে দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ছয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেলেন এই অভিনেতা। এর আগে ২০০৪ সালে ‘শঙ্খনাদ’, ২০১৬ সালে ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে, ২০১৯ সালে ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ২০১৭ সালে ‘গহীন বালুচর’ এবং ২০২০ সালে ‘বিশ্বসুন্দরী’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য 'শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পার্শ্ব চরিত্রে’ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন।
ফজলুর রহমান বাবু ২২ আগস্ট ১৯৬০ ফরিদপুর জেলার কোতোয়ালী থানার পশ্চিম আলিপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৭৮ সালে ফরিদপুর টাউন থিয়েটারে অভিনয়ের মাধ্যমে তার অভিনয় জীবন শুরু হয়। পরবর্তীতে ফরিদপুরের বৈশাখি নাট্যগোষ্ঠীতে অভিনয় করেন। তিনি ১৯৮৩ সালে আরণ্যক নাট্যগোষ্ঠীতে যোগ দেন এবং গত ৪০ বছর যাবত উক্ত দলের সঙ্গে যুক্ত আছেন।
ফজলুর রহমান বাবু একাধারে চলচ্চিত্র, টেলিভিশন, বেতার এবং মঞ্চনাটকে অভিনয় করে যাচ্ছেন। তিনি সহস্রাধিক টেলিভিশন নাটকে অভিনয় করেছেন। তাছাড়া চলচ্চিত্র ও মঞ্চ নাটকে প্রচুর কাজ করেছেন।
তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে : ‘শঙ্খনাদ’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘মনপুরা’, ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘না বলো না’, ‘আহা!’, ‘মেইড ইন বাংলাদেশ’, ‘স্বপ্ন ডানায়’, ‘বৃত্তের বাইরে’, ‘একাত্তরের নিশান’, ‘হালদা’, ‘স্বপ্নজাল, ‘মেয়েটি এখন কোথায় যাবে’, ‘ফাগুন হাওয়ায়’ প্রভৃতি।
বাংলাদেশ সময়: ১০৪২ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৩
এনএটি/এমএইচএস