মুম্বাইয়ের জুহুর একটি অ্যাপার্টমেন্টে ২০১৩ সালের ৩ জুন আত্মহত্যা করেন অভিনেত্রী জিয়া খান। আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে প্রেমিক সুরাজ পাঞ্চোলিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
দীর্ঘ ১০ বছর পর এ মামলা থেকে খালাস পেলেন অভিনেতা সুরাজ।
শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সিবিআই (ইন্ডিয়ান সেন্ট্রোল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)-এর একটি বিশেষ আদালত এ রায় দেন।
রায়ের পর আদালত থেকে বাড়ি ফেরার সাংবাদিকদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন সুরাজ। এরপর সবার মাঝে মিষ্টি বিতরণ করা হয়। ভারতীয় সংবাদ সংস্থা এএনআই এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
রায় ঘোষণার সময়ে সিবিআই কোর্টের বিচারক এএস সাঈদ বলেন, আপনার (সুরাজ) বিরুদ্ধে প্রমাণ না থাকায় আদালত আপনাদে দোষী সাব্যস্ত করতে পারছে না। এজন্য আপনাকে এ মামলা থেকে খালাস দেওয়া হলো।
জিয়া খান মামলা থেকে খালাস পাওয়ার পর সাংবাদিকদের কোনো বক্তব্য দেননি সুরাজ। তবে ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এই অভিনেতা লেখেন, সত্য সবসময়ই বিজয়ী হয়।
তবে এ রায়ে সন্তুষ্ট নন জিয়ার মা রাবেয়া খাতুন। আদালত চত্বরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আমি এটুকু বলতে চাই, জিয়া আত্মহত্যা করেনি। তাহলে জিয়ার মৃত্যু কীভাবে হলো? জিয়া ন্যায় পাবেই। আমি এতো তাড়াতাড়ি হাল ছেড়ে দেব না। প্রয়োজনে হাইকোর্ট কিংবা সুপ্রিম কোর্টে যাবো। আমি লড়ে যাবো।
২০১২ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে পরিচয় হয়েছিল সুরাজ ও জিয়ার। এরপর তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। ২০১৩ সালের ৩ জুন আত্মহত্যার আগে সুরাজের বাড়ি থেকেই নিজের বাড়িতে ফিরে যান জিয়া। তার আগের তিনদিন তিনি সুরাজের বাড়িতে ছিলেন। বাড়ি ফেরার পর সুরাজ এবং জিয়া দুজনেরই পরিচিত এক মেয়ে বন্ধুকে নিয়ে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়েন।
এরপর অতিরিক্ত মেসেজে বিরক্ত হয়ে সুরাজ রাগ করে বিবিএম (ব্ল্যাক বেরি ম্যাসেঞ্জার) বন্ধ করে দেন। এরপর মধ্যরাতে জিয়া সুরাজকে ফোন করেন এবং সে সময়ও তাদের মধ্যে অনেক তর্ক হয়। এরপর সুরাজ জিয়াকে গালিগালাজ দিয়ে মেসেজ পাঠান। এরপর জিয়ার মা রাবেয়া বাড়িতে ফিরে এসে দেখেন জিয়া তার শোবার ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় রয়েছে।
২০১৩ সালের অক্টোবরে রাবেয়া খাতুন মুম্বাই উচ্চ আদালতে একটি পিটিশন দায়ের করেন। সেখানে তিনি বলেন, তার মেয়েকে হত্যা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৩ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৮, ২০২৩
এনএটি