দেশে অভিনয়ে নিয়মিত না হলেও কলকাতায় বেশ সরব রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। সেখানকার ওটিটিতে মিথিলার অনেক আগেই অভিষেক হয়েছে।
নতুন সিনেমা এবং নানা প্রসঙ্গে কলকাতার সংবাদমাধ্যমে কথা বলেছেন তিনি।
মিথিলা বলেন, সিনেমাটা লম্বা, অনেকেই এতটা লম্বা সিনেমা দেখতে অভ্যস্ত নন। তবে আবার অনেকেরই ভালো লেগেছে। সকলের পারফরম্যান্স নিয়ে ইতিবাচক কথা শুনেছি। সকল অভিনেতারা পুরোটা দিয়েছেন, সবাই দারুণ। আর এটা যেহেতু ম্যাকবেথের একটু ভিন্ন অ্যাডাপটেশন, তো সেটা কারো কারো খুব ভালো লেগেছে।
‘মায়া’র চরিত্র নিয়ে তিনি বলেন, এই সিনেমাটা আসলে ‘মায়া’ মানে আমারই গল্প, যেটা ম্যাকবেথের প্রেক্ষাপটে গল্প বলা হয়েছে। ‘মায়া’র দৃষ্টিকোণ থেকেই পুরোটা দেখানো হয়েছে। সিনেমাতে কখনও কখনও মায়াকে ‘ম্যাকবেথ’র সেই ডাইনিও মনে হতে পারে। ম্যাকবেথে যেমন তিন ডাইনিকে ভবিষ্যদ্বাণী করতে দেখা যায়, এটা এখানে ‘মায়া’ করে। এটা যদিও ‘ম্যাকবেথ’র সরাসরি অ্যাডাপটেশন নয়, এখানে সৃজনশীলতার খাতিরে পরিচালক (রাজর্ষি দে) কিছু বদলও এনেছেন। বিভিন্ন বয়সের টাইমলাইনে ‘মায়া’কে দেখানো হয়েছে।
কলকাতায় প্রথম সিনেমা, কতটা স্পেশাল? উত্তরে এই অভিনেত্রী বলেন, ভীষণই স্পেশাল এটা। আমি তিন বছরের বেশি কলকাতায় আছি, এই প্রথম এখানে কোনও সিনেমা মুক্তি হল। এটা গুরুত্বপূর্ণ সিনেমা, আমার চরিত্রটাও লিড। অবশ্যই চেয়েছিলাম এই বাংলাতেও আমার সিনেমা মুক্তি পাক। আমার অভিনয় এখানকার মানুষও দেখুক। শেষপর্যন্ত সেটাই হল।
সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে এই যে বিচ্ছেদের গুঞ্জন কেন বারবার? মিথিলা বলেন, আমার মনে হয় যেকোনও দাম্পত্যে স্বামী-স্ত্রীর ঝগড়া, খিটিমিটি, খুবই সাধারণ বিষয়। সেটা কোথা থেকে কীভাবে খবরে চলে আসছে বুঝতে পারি না। আমি যেহেতু বাইরে বাইরে থাকি, নিজেদের মধ্যে বিষয়গুলির সমাধান হওয়ার আগেই বিষয়গুলো পাবলিক হয়ে যায়। এবার যদি সত্যিই সিরিয়াস কিছু ঘটে, সেটা তো আমরা জানাবই। তার অপেক্ষা না করে এই যে গুঞ্জন বলে খবর হয়ে যাচ্ছে। সত্যিই বিচ্ছেদ হলে এরপর কেউ বিশ্বাস করবেন না। সেই পালে বাঘ পড়ার মতো হবে (হাসি)।
মিথিলা অভিনীত বাংলাদেশে মুক্তির প্রতিক্ষীত ও নির্মাণাধীন রয়েছে তিনটি সিনেমা। এগুলো হচ্ছে ‘জলে জ্বলে তারা’, ‘কাজলরেখা’ ও শিশুদের অ্যাডভেঞ্চারের ওপর সিনেমা ‘সোনার পাহাড়’। ধারাবাহিকভাবে সিনেমাগুলো মুক্তি পাবে বলে জানিয়েছেন এই অভিনেত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ২১৪৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৩
এনএটি