ঢাকা, শনিবার, ১৭ কার্তিক ১৪৩১, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ০০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

নিজ জন্মভূমিতে সংবর্ধিত হলেন আফরান নিশো

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
নিজ জন্মভূমিতে সংবর্ধিত হলেন আফরান নিশো

টাঙ্গাইল: টাঙ্গাইলের ভূঞাপুরে নিজ জন্মভূমিতে জনপ্রিয় অভিনেতা আফরান নিশোকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছে।

নিশো অভিনীত প্রথম ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটি ভূঞাপুর স্বাধীনতা কমপ্লেক্সে অস্থায়ী হল তৈরি করে সেখানে ভক্তদের দেখার আয়োজন করে স্থানীয় কয়েকজন যুবক।

আয়োজকদের আমন্ত্রণে নিশো তার ছবির পুরো টিম নিয়ে মঙ্গলবার (১০ জুলাই) রাতে আসেন ভূঞাপুরে। এ সময় ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার নায়িকা তমা মির্জা, পরিচালক রায়হান রাফীসহ টিমের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ।

এছাড়া সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাহিনুল ইসলাম তরফদার বাদল, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম বাবু, জেলা পরিষদের সদস্য খায়রুজ্জামান তালুকদার বাবলু প্রমুখ।  

এর আগে ভূঞাপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে সংবর্ধনা ও ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমা দেখানোর আয়োজন করা হয়।

এ সময় মাঠ কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায় নিশোর আগমনের খবরে।

গেল ঈদের দিন থেকে শুরু হয় আফরান নিশো অভিনীত ছায়াছবি ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমাটি অস্থায়ী হলে চালানো হয়।

অভিনেতা আফরান নিশো বলেন, জন্মভূমির শেকড়টা ভুলতে চাই না কখনো। টাঙ্গাইলে এলেই আমার ভাষা টাঙ্গাইলের মতো হয়ে যায়। এছাড়া আমার কাজের মধ্যেও এই ভাষাটা দেওয়ার চেষ্টা করি। সুড়ঙ্গ সিনেমাটিতে মাসুদের যে চরিত্রের গেটআপ সেটা অনেকটা আমার বাবার মতো। এটা কাউকে বলা হয়নি। আমার বাবাকে মাথায় রেখে তিনি দেখতেও অনেকটা ওইরকম ছিলেন। আমার মা বলেছেন যে তোমাকে দেখতে একদম তোমার বাবার মতো লাগতেছে। ভূঞাপুর আমার জন্মস্থান। সব সময় এখানে আসতাম। তবে মাঝে মাঝে গভীর রাতে বাবার কথা মনে হলেই গাড়ি চালিয়ে গ্রামে গিয়ে বাবার কবর জিয়ারত করে চলে যাই। তবে কাউকে বলি না।

নিশো বলেন, ভূঞাপুরে দুইটা সিনেমা ছিল এক সময়। কিন্তু বর্তমানে একটাও নেই। তারপরও আমার জন্মস্থানে আমার ভক্তরা অস্থায়ী সিনেমা হল বানিয়ে সিনেমা দেখার সুযোগ করে দিয়েছে তার জন্য আমি সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকবো। কোথাও আগে শুনিনি যে এভাবে অস্থায়ী সিনেমা হল তৈরি করেছে। আমার এলাকাবাসী আমার জন্য করেছে। আজকে বড় পর্দায় কাজ করছি কিন্তু আজকে আবার বাবা থাকলে অন্যরকম হতো। সে যে কত খুশি হত।

আফরান নিশো বলেন, আমি ছোট থেকেই আসতে আসতে কাজ করতে করতে নিজের যোগ্যতায় একটা জায়গায় এসেছি এখন অনেকেই চিনে আমার নাম। আমি বিভিন্ন চরিত্রে কাজ করতে পছন্দ করি। ভূঞাপুরে সিনেমা হল নির্মাণে সব্বোর্চ চেষ্টা করা হবে। যেখানে যেখানে যাওয়া দরকার যাবো। সিনেমা হল আমরা বানাইয়া ছাড়বো।

সুড়ঙ্গ সিনেমার পরিচালক রায়হান রাফী বলেন, যখন শুনলাম ভূঞাপুরে নিশোর গ্রামের বাড়ি সেখানে কয়েকজন মিলে হল বানাচ্ছে। এতে আমরা অবাক হয়েছিলাম। সাধারণত এটা হয় না কোথাও। আয়োজকদের ধন্যবাদ জানাই।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌরমেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদুল হক মাসুদ বলেন, আমি ও ভোলা ভাই যে অভিনেতা আফরান নিশোর বাবা একসঙ্গে রাজনীতি ও মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। আজকে ভোলা ভাই থাকলে আরো শান্তি পেতেন তার ছেলের সাফল্য দেখে। নিশো তার কর্ম দিয়ে সারা দেশের মানুষের হৃদয় জয় করুক।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২৩
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।