সাম্প্রতিক যুক্তরাষ্ট্র সফর থেকে অনেকেই আশা করেছিলেন, আবারও হয়ত শাকিবের সংসারে ফিরছেন অপু বিশ্বাস। কিন্তু সেই সম্ভাবনা উড়ে গেলো রোববার (১৩ আগস্ট) বেলা ৩টা ৪৫ মিনিটে।
এসময় অপু বিশ্বাস তার ফেসবুক প্রোফাইলের সিঙ্গেল স্ট্যাটাস বদলে লেখলেন ‘গট ম্যারেড’।
অবশ্য অনেকেই ধরে নিয়েছেন, অপুর প্রোফাইল হ্যাক হয়েছে। কিন্তু এই ফাঁকে বিয়ের শুভেচ্ছায় ভেসে যাচ্ছিলেন নায়িকা। যদিও ৫ মিনিটের মাথায় পোস্টটি মুছে গেছে।
তাহলে বিষয়টি কী? সত্যি ঘটনা নাকি হ্যাকারের কাণ্ড। অপু জানালেন মজার ঘটনা। তার ভাষ্য, হ্যাক হয়নি। আমি নিজেই এই অঘটন ঘটিয়েছি! ইনফো চেক করতে গিয়ে ভুলে এটা হয়েছে। দ্রুতই সরিয়ে নিয়েছি। এর জন্য আমি সবার প্রতি দুঃখিত।
এদিকে, শুক্রবার (১১ আগস্ট) একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিতে টাঙ্গাইলে গিয়েছিলেন অপু বিশ্বাস। সেখানে শাকিব খানের সঙ্গে সম্পর্ক কেমন যাচ্ছে- স্থানীয় সাংবাদিকরা এমন প্রশ্ন করলে সেটির জবাব না দিয়ে তা এড়িয়ে যান অপু বিশ্বাস।
অন্যদিকে, ভালোবেসে ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল বিয়ে করেন শাকিব খান ও অপু বিশ্বাস। তবে ২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সন্তানসহ একটি বেসরকারি টেলিভিশনে লাইভে এসে বিয়ে ও সন্তানের বিষয়ে কথা বলেন অপু। এর ক’দিন পরই মতের অমিল দেখা দেয় তাদের দাম্পত্য জীবনে।
অনেক জল ঘোলা করে ২০১৭ সালের ২২ নভেম্বর ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের (অঞ্চল-৩) মহাখালী জোনাল অফিসে অপু বিশ্বাসের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছিলেন শাকিব খান। ওই সময় আবেদনটি নিয়ে সালিস হয়। শাকিব উপস্থিত না হলেও অপুর উপস্থিতিতে আবেদনের শুনানি হয়। সেখানে শাকিব উপস্থিত না হলেও অপুর উপস্থিতিতে আবেদনের শুনানি হয়। সেই সালিসের একটি ভিডিও গেল জুলাইয়ে ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিকমাধ্যমে।
ওই ভিডিওতে সিটি কর্পোরেশনের এক কর্মকর্তাকে বলতে শোনা যায়, আমাদের আজকের সালিস কেসে বিবাদী অপু বিশ্বাস উপস্থিত হয়েছেন। তার বক্তব্য প্রদান করেছেন। আসলে তিনি বিষয়টি মীমাংসা করতে চান, স্বামী নিয়ে সন্তান নিয়ে ঘর-সংসার করতে চান। কিন্তু বাদী উপস্থিত হননি। সাধারণ একটি সাদা কাগজে আবেদন পাঠিয়েছেন তিনি। কাজী অফিসের মাধ্যমে কোনো রেজিস্ট্রি হয়ে আসেনি এটি। এমনকি কোনো কাবিননামা, কোনো সাক্ষী বা কোনো হলফনামা নেই।
মূলত এরপর থেকে শাকিব-অপুর বিবাহবিচ্ছেদ হওয়া না হওয়ার বিষয়টি সামনে চলে আসে। ভিডিওটি দেখে অনেকে ধারণা করছেন, এখনও তাদের বিচ্ছেদ কার্যকর হয়নি!
এ বিষয়ে গেল জুলাই মাসে অপু বিশ্বাস সংবাদমাধ্যমকে বলেছিলেন, আমি ভিডিওটি দেখেছি। বিষয়টি নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের সঙ্গে কথা বললে ভালো হয়। তারা এ বিষয়ে পরিষ্কার করতে পারবেন। বিষয়টি খুবই সেনসিটিভ। তাই আগেভাগে কিছু বলতে চাচ্ছি না। কারণ, আমরা যখন সম্পূর্ণ আলাদা হয়ে গিয়েছিলাম, তখন রাগের বশে না বুঝে অনেক কথা বলে ফেলেছিলাম।
যোগ করে এই অভিনেত্রী আরও বলেছিলেন, এ জন্য আমাকে ভুগতে হয়েছে। আমি আর ভুগতে চাই না। আমার মা-বাবা পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছেন। আমি নতুন করে বাবা-মা পেয়েছি। শুধু স্বামী নয়, সন্তান, শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদসহ পরিবারের সবাইকে নিয়ে সুন্দর জীবন পার করতে চাই। তাই একটু সময় দিন আমাকে, সুন্দর সময়ে সুন্দর কথাগুলো বলব।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৩
এনএটি