ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

শুক্রবার থেকে প্রেক্ষাগৃহে ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
শুক্রবার থেকে প্রেক্ষাগৃহে ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’ আম-কাঁঠালের ছুটি

পূর্ণদৈর্ঘ্য শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’ প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে শুক্রবার (১৮ অক্টোবর)। শরীফ উদ্দিন সবুজের ছোটগল্প অবলম্বনে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান।

গত শতাব্দীর সত্তর-আশি কিংবা মধ্য নব্বইয়ের দশকে যারা শৈশব-কৈশোর পার করেছেন, সেই বয়সের যাপিত জীবনকে তারা নস্টালজিক আবহে তৈরি এ চলচ্চিত্রে দেখতে পাবেন বলে মনে করেন নির্মাতা। সেই সঙ্গে হারিয়ে যাওয়া কিংবা হারাতে বসা প্রাকৃতিক পরিবেশ আর নিজস্ব লোকজ সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচিত হবে নতুন প্রজন্মের শিশু-কিশোররা।

কারও সঙ্গে মিশতে না পারা আট বছর বয়সী একটি শহুরে ছেলে গ্রীষ্মের ছুটিতে গ্রামে বেড়াতে এসে কীভাবে নতুন এক জগৎ আবিষ্কার করে, খুঁজে পায় বন্ধুত্ব আর রোমাঞ্চের স্বাদ, তারই আখ্যান এই পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র।

গেল ২৬ মে মাসে রাশিয়ার চেবাক্সারি আন্তর্জাতিক ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে স্পেশাল জুরি অ্যাওয়ার্ড পায় ‘আম-কাঁঠালের ছুটি’। তার আগে গত বছর ডিসেম্বর মাসে ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তায় জগজা নেটপ্যাক এশিয়ান ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে এ সিনেমার ইন্টারন্যাশনাল প্রিমিয়ার হয়, এশিয়ান পারস্পেকটিভ বিভাগে সিনেমাটির আরও একটি প্রদর্শনী হয় সেখানে।

এছাড়া আর্জেন্টিনার ইউবিএ ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের ইন্টারন্যাশনাল ফিচার ফিল্ম কমপিটিশন বিভাগে এবং স্পেনের বার্সেলোনা ইন্ডি ফিল্মমেকার্স ফেস্ট ২০২৩ থেকেও অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছিল আম-কাঁঠালের ছুটি।

মুক্তির পর প্রথম সপ্তাহে স্টার সিনেপ্লেক্স (বসুন্ধরা সিটি শপিং কমপ্লেক্স), ব্লকবাস্টার সিনেমাস (যমুনা ফিউচার পার্ক), লায়ন সিনেমাস (কেরানীগঞ্জ), সিলভার স্ক্রিন (চট্টগ্রাম) এবং সিনেস্কোপ, নারায়ণগঞ্জে সিনেমাটি প্রদর্শিত হবে বলে নিশ্চিত করেছে সিনেমাটির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।

দ্বিতীয় সপ্তাহে এ তালিকায় আরও কিছু নতুন প্রেক্ষাগৃহ যুক্ত হবে বলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে জানানো হয়েছে। এছাড়া দেশের বাইরেও সিনেমাটির বাণিজ্যিক প্রদর্শনী শুরু হবে চলতি মাসের শেষ দিকে। চলচ্চিত্রটির আন্তর্জাতিক সংস্করণের নামকরণ করা হয়েছে ‘সামার হলিডে’।

সিনেমাকার প্রযোজিত এ চলচ্চিত্রের পেছনে রয়েছে দীর্ঘ সাত বছরের পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের গল্প। খুব ছোট একটি কারিগরি ইউনিট আর আনকোরা একদল অপেশাদার অভিনয় শিল্পীদের নিয়ে গাজীপুরের হারবাইদ সংলগ্ন প্রায় পঁচিশ-ত্রিশ কিলোমিটার জুড়ে ছড়িয়ে থাকা লোকেশনে ধারণ করা এই চলচ্চিত্রের সিনেমাটোগ্রাফি করেছেন নির্মাতা নিজেই, সঙ্গে ছিলেন ম্যাক সাব্বির।

প্রযোজনা, পরিচালনা, চিত্রনাট্য রচনার পাশাপাশি সাউন্ড ডিজাইনও করেছেন মোহাম্মদ নূরুজ্জামান। প্রধান চরিত্রগুলোতে অভিনয় করেছে লিয়ন, জুবায়ের, আরিফ, হালিমা ও তানজিল। আরও ছিলেন ফাতেমা, কামরুজ্জামান কামরুল, আব্দুল হামিদ প্রমুখ। এই সিনেমার প্রধান সহকারী পরিচালক ছিলেন ‘আদিম’ খ্যাত নির্মাতা যুবরাজ শামীম।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৭, ২০২৩
এনএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।