ক্যারিয়ারে অসংখ্য রোমান্টিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন বাপ্পারাজ। সেইসব সিনেমা হতো ত্রিভুজ প্রেমের।
আপন মনে ভালোবেসে চলা প্রিয়তমাকে বন্ধুর হাতে তুলে দিয়ে সিনেমার শেষ দৃশ্য বেদনার করে তুলতেন তিনি। এই চরিত্রগুলোতে সাবলীল অভিনয়ে নব্বই দশকে আকাশ ছোঁয়া জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন বাপ্পারাজ।
এ জন্য দর্শক তাকে ভালোবেসে কখনো ‘ছ্যাকা খাওয়া নায়ক’ কখনো বা ‘ব্যর্থ প্রেমের সফল নায়ক’, ‘মিস্টার স্যাক্রিফাইস’ বলে ডাকেন।
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অরুণা বিশ্বাস পরিচালিত ‘অসম্ভব’ সিনেমার সংবাদ সম্মেলনের পর ‘ব্যর্থ প্রেমের সফল নায়ক’ প্রসঙ্গে বাপ্পারাজ বলেন, যদি একশো সিনেমা করে থাকি হয়তো আট-দশটিতে এমন চরিত্রে অভিনয় করেছি। হতে পারে দর্শকদের কাছে এই ধরনের চরিত্রে আমার অভিনয় ভালো হয়েছে, দর্শকদের মনে গেঁথে গেছে। এ কারণে আমি ব্যর্থ প্রেমের সফল নায়ক হিসেবে মানুষের হৃদয়ে রয়ে গেছি।
তিনি আরও বলেন, অনেকেই মনে করেন আমার সব সিনেমা হয়তো এমন। কিন্তু না। আমি অ্যাকশন, পারিবারিক গল্পের সিনেমাও অনেক করেছি। তবে হ্যাঁ, ওইসব চরিত্রগুলো হয়তো ঠিকঠাকভাবে করতে পেরেছি বলে দর্শকদের মাথায় রয়ে গেছি। ওইসব গান বা সংলাপগুলো এখন ফেসবুক বা অন্যান্য মাধ্যমে ছড়াছড়ি হয়। এগুলো দেখে আমার ভালো লাগে। যে অভিনেতা মানুষের মনের মধ্যে কাজ দিয়ে যেতে পারবে সে আসলে তার স্থানে সফল হয়ে যায়।
বাবা নায়করাজ রাজ্জাকের হাত ধরে ১৯৮৬ সালে ঢাকাই সিনেমায় পা রাখেন বাপ্পারাজ। ‘চাঁপাডাঙ্গার বউ’ সিনেমা দিয়ে ক্যারিয়ার শুরু করা বাপ্পারাজ তিন দশকেরও বেশি সময়ের অভিনয় করেছেন শতাধিক সিনেমায়।
বাপ্পারাজ অভিনীত ত্রিভুজ প্রেমের ‘প্রেমের সমাধি’, ‘প্রেমগীত’, ‘হারানো প্রেম’, ‘ভুলোনা আমায়’, ‘বুক ভরা ভালোবাসা’, ‘ভালোবাসা কারে কয়’ এমন বেশ কিছু সিনেমা তাকে দিয়েছে অনন্য জনপ্রিয়তা। এছাড়াও ‘বাবা কেন চাকর’, ‘সন্তান যখন শত্রু’, ‘সৎ ভাই’, ‘জবাব চাই’ ইত্যাদি সিনেমাগুলো দিয়ে দর্শকের মন ভরিয়েছেন তিনি।
বাপ্পারাজ কিছু নাটকে পরিচালনাও করেছেন। তার মধ্যে আছে ‘কাছের মানুষ রাতের মানুষ’ এবং ‘একজন লেখক’। তিনি ‘কার্তুজ’ নামের একটি চলচ্চিত্রও পরিচালনা করেছেন।
সর্বশেষ বাপ্পারাজ অভিনয় করেছেন ‘পোড়ামন ২’ সিনেমায়। সেখানে নায়ক সিয়ামের বড় ভাইয়ের চরিত্রে অনবদ্য অভিনয় দেখিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০২৩
এনএটি