শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সংহতি জানিয়েছেন দেশের শিল্পীসমাজের অনেকেই নানা রকম কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। কথা বলছেন আবার প্রতিবাদও জানাচ্ছেন।
ফেসবুকে লেখেন, এতগুলো দিন পার হয়ে যাওয়ার পর আমার কিছু বলা বা না বলাতে কিছু আসা যায় না। তবু মনে হচ্ছে, আমার চুপ থাকাটাকে নিজের কাছে নিজের সহ্য হচ্ছে না।
নীরব থাকা প্রসঙ্গে ফারিণ লেখেন, আমি আমার নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নীরব ছিলাম। সাহসের অভাবে নীরব ছিলাম। নিজের স্বার্থের চেয়ে দেশের স্বার্থকে বড় করে দেখতে পারিনি। এ ব্যর্থতার দায় সম্পূর্ণ আমার। গা বাঁচিয়ে একটা দায়সারা বক্তব্য প্রদান করার চেয়ে আমার নীরব থাকাকে শ্রেয় মনে হয়েছে।
যোগ করে এই অভিনেত্রী লেখেন, আজকে যখন হাজার হাজার মানুষ নিজের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে শহীদ মিনারে জড়ো হলো ভবিষ্যতের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার তাগিদে, তখন নিজের বাসায় বসে নিজের নিরাপত্তার কথা ভাবাটাই হাস্যকর।
নিজেকে স্বার্থপর মানুষ উল্লেখ করে ফারিণ লেখেন, কারো কোনো সাহায্য-সহযোগিতা ছাড়া আপনারা সাধারণ মানুষ যারা এত সুন্দর করে দেশ সংস্কারের কাজ করে যাচ্ছেন, তারাই আসল সেলিব্রিটি। আমার মতো স্বার্থপর মানুষদের অনেক কিছু শেখার আছে আপনাদের থেকে। হয়তো একদিন আপনাদের মতো আমারও সাহস হবে, কোনো কিছু লিখতে-বলতে গিয়ে দশবার ভাবতে হবে না।
ফারিণ আরও লেখেন, এখনো অনেক কথা লিখতে গিয়ে বারবার মুছে ফেলছি। আপনাদের মনে কষ্ট দিয়েছি। আমি ক্ষমাপ্রার্থী। বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে চাই গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হোক। কেউ পারলে আপনারাই পারবেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৬০২ ঘণ্টা, আগস্ট ০৪, ২০২৪
এনএটি