কলকাতায় নতুন অধ্যায় শুরু করেছেন ঢালিউডের নায়িকা পরীমণি। তার প্রথম কলকাতার সিনেমা ‘ফেলুবক্সী’ মুক্তি পেতে যাচ্ছে আগামী বছরের ১৭ জানুয়ারি।
তবে সিনেমাটির প্রচারে কথা বলছেন ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের সঙ্গে। যেখানে উঠে এসেছে অভিনয়, প্রেমসহ নানা বিষয়।
‘ফেলুবক্সী’তে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়ে কেমন লেগেছিলো? এই প্রশ্নে পরীমণি বলেন, সত্যি বলতে অভিনয় করার ভাবনা নিয়ে কলকাতায় আসিনি। মনে মনে কোনও প্রস্তুতি না থাকলে সেটা হলে বা না হলে কোনও অনুভূতি তৈরি হয় না। আমারও তাই। কারণ, তখনও আমি পুরোপুরি মাতৃত্বে ডুবে। পদ্ম আরও ছোট। ওকে সামলে কী করে কাজ করব, সেটাই একমাত্র চিন্তা। ওকে ছেড়ে কাজ করার ভাবনাও নেই। কিন্তু সিনেমাতে আমার অভিনীত চরিত্র শোনার পর সেই আমি কিছুতেই ‘না’ বলতে পারলাম না। একটাই অনুরোধ, এক্ষুনি চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন করবেন না। বললে সিনেমা দেখার আনন্দই মাটি (হাসি)।
একের পর এক প্রেম, বিয়ে, বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটিয়ে সিনে জগতের সংবাদে বারবার শিরোনাম হয়েছেন পরীমণি। গেল বছরের নভেম্বরে সামাজিকমাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেন তিনি। যা দেখে সবাই ধরেই নিয়েছিল, তিনি ফের প্রেমে পড়েছেন। কারণ ওই ভিডিওতে দেখা গেছে চলন্ত গাড়ির জানালায় ঘড়ি পরা এক পুরুষের হাতের ওপর হাত রেখেছেন তিনি। ক্যাপশনে লেখেন, ‘হ্যাঁ, আমি আবারও প্রেমে পড়েছি। ’ ব্যক্তিগত আইডিতে পোস্ট করা রিলসটি তার পেজে শেয়ার করলে সেখানে শুরুতে নেতিবাচক মন্তব্য দেখা যায়। পরে সেসব মন্তব্য মুছে ফেলেন তিনি।
বিষয়টি টেনে পরীমণির কাছে প্রশ্ন করা হয়- পরী কি খুব দুষ্টু, না ছেলেমানুষ এখনও? পুরুষ বন্ধুর হাত নিয়ে খেলা করে সকলের ঘুম ছুটিয়ে দেন!
জবাবে পরীর ভাষ্য, ও আমার ছোটবেলার বন্ধু। আমি যখন প্রথম নাচ করতাম তখনকার বন্ধু। এত ভালো নাচে যে ওকে ‘দীপিকা পাড়ুকোন’ বলে ডাকি। আসল নাম চঞ্চল। একদিন এক সঙ্গে গাড়িতে আড্ডা দিতে দিতে ফিরছিলাম। হঠাৎ মনে হল, এ রকম কিছু করলে কেমন হয়? তার যে এই ফলাফল হবে বুঝতে পারিনি। অনুরাগীরা ভাবলেন, আপনি আবার প্রেমে। সকলে শুভেচ্ছায় ভরিয়ে দিলেন...!
পরী যোগ করে বলেন, কী করে যে বোঝাই, আমার আর প্রেম আসে না। ওই জোন থেকে বেরিয়ে এসেছি। সকলের শুভেচ্ছা পড়তে পড়তে মনে হল, বুঝি বেশিই বাড়াবাড়ি করে ফেলেছি। পরের দিন ঘুম থেকে উঠে তাই সমাজিকমাধ্যমে ভিডিওর পুরো অংশ দিয়ে আত্মসমর্পণ করলাম। আরও একটা জিনিস উপলব্ধি করলাম। ওই যে বলে না, যার বিয়ে তার হুঁশ নেই, পাড়াপড়শির ঘুম নেই। আমার যেন সেই দশা। আমার প্রেম নিয়ে আমার যত না মাথাব্যথা, বাকিদের যেন বেশ।
তবে নতুন প্রেমে পড়লে নিজেই তা ঘটা করে জানাতে চান পরীমণি। এমনটিই আভাস পাওয়া গেল নায়িকার কথায়। তার ভাষ্য, আরে, আমার প্রেম, নতুন প্রেম- কোথায় আমি উত্তেজনায় ফুটব। জেগে স্বপ্ন দেখব। আনন্দে মেঘমুলকে ভাসব- তা না! তাদের দেখি কী উৎসাহ-উদ্দীপনা। আমার প্রেম হলে ওদের যে কী সমস্যা! দেখি, মন-টন ভেঙে যায়। আমি কারও হব না- তাতে লোকে খুশি। একজন কারও হলেই বিশাল ব্যথা! তাই সমস্ত অনুরাগীদের জানাচ্ছি, আমি কারও নই বাবা! তোমরা খুশি থাকো।
পরী আর নায়িকা নয়, অভিনেত্রী হতে চান। নতুন করে প্রেমে পড়তেও নারাজ! জীবন কি পরীকে বড় করে দিল? নায়িকার কথায়, বড় না, জীবন অনেক কিছু শিখিয়ে দিল। অনেক রকম ভাবে চলতে শেখাল। সম্ভবত, আমার এখন সেই অবস্থা যাচ্ছে। তা ছাড়া, এত প্রেম করেছি! আমার মতো ফাটিয়ে প্রেম বোধহয় ইন্ডাস্ট্রিতে কেউ করেনি (হা হা হাসি)। আমার প্রেমের তাই কোটা শেষ।
প্রসঙ্গত, ‘ফেলুবক্সী’তে পরীমণি অভিনয় করেছেন লাবণ্য চরিত্রে। যেখানে তার বিপরীতে রয়েছেন সোহম চক্রবর্তী। আরও রয়েছেন মধুমিতা সরকার। এ তিন তারকাকে একসঙ্গে পর্দায় আনছেন পরিচালক দেবরাজ সিনহা। থ্রিলার গল্পের এ সিনেমায় প্রধান তিন চরিত্রে অভিনয় করতে দেখা যাবে তাদের।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০২৫
এনএটি