ক্যারিয়ারের তুঙ্গে থাকা অবস্থায় বিয়ে করেন বলিউড অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত। ১৯৯৯ সালে মাধুরীর হঠাৎ বিয়ে করে বিদেশে চলে যাওয়ার খবরে অনেকেই অবাক হয়ে গিয়েছিলেন।
দীর্ঘ সময় ডাক্তারি পেশার সঙ্গে যুক্ত থাকার পর বর্তমানে একটি ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে যুক্ত মাধুরীর স্বামী। সম্প্রতি সেই ইউটিউব চ্যানেলেই নিজেদের বিবাহিত জীবনের প্রথম কিছুদিনের কথা তুলে ধরলেন তারা। সবার সঙ্গে শেয়ার করলেন কীভাবে বিয়ের প্রথম কয়েক মাস সমস্যার মধ্যে কাটিয়েছিলেন তারা।
ইউটিউব ভিডিওতে মাধুরী নিজের বিয়ের পরবর্তী সময়ের কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘যখন আমরা বিয়ে করি তখন তুমি ফ্লোরিডায় থাকতে। এখনও আমার মনে আছে, সারাদিন তুমি ব্যস্ত থাকতে। তখন এখনকার মতো এতো ফোনের ব্যবহার ছিল না, সারাদিন একা কেটে যেত আমার। রাতে যখন ফিরতে তখন এতটাই ক্লান্ত থাকতে যে কথা বলার মতো অবস্থায় থাকতে না তুমি। ’
মাধুরীর কথার জবাবে তার স্বামী নেনে বলেন, ‘বিদেশের মাটিতে একজন চিকিৎসক হওয়া সবথেকে ধৈর্যের ব্যাপার। আপনাকে প্রথমে চার বছর পড়াশোনা করে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করতে হবে, তারপর প্রাক চিকিৎসা সংক্রান্ত যোগ্যতা অর্জন করতে হবে, পরীক্ষায় সবসময় ভালো নম্বর থাকতে হবে। এরপর ৪ বছর মেডিক্যাল স্কুলে কাটাতে হবে। ’
নেনে আরও বলেন, ‘আমাদের যখন বিয়ে হয়েছিল তখন আমি ইউসিএলএতে জেনারেল সার্জারি চিপ রেসিডেন্সি শেষ করেছিলাম এবং ফ্লোরিডায় যাচ্ছিলাম। আমার মনে আছে সেই সময়টা খুব কঠিন ছিল আমাদের দুজনের জন্য। আমার রেসিডেন্সি এবং ফেলোশিপের জন্য দিনরাত পরিশ্রম করতাম। একজন অ্যাটেনডেন্ট হিসেবেও কাজ করতাম আমি। ’
একজন চিকিৎসককে বিয়ে করার নেতিবাচক দিক তুলে ধরে মাধুরী বলেন, ‘আমি একদম অন্যরকম একটা জগতের মানুষ ছিলাম। বিয়ের পর আমার জীবনটা অনেকটাই পাল্টে যায়। তুমি সব সময় ব্যস্ত থাকতে তাই আমাকেই বাচ্চাদের দেখাশোনা করা, স্কুলে নিয়ে যাওয়া, ফিরিয়ে নিয়ে আসা সব কিছুই করতে হতো। ’
মাধুরী আরও বলেন, ‘মাঝে মাঝে অসুবিধা হত। কখনও যদি আমি অসুস্থ হয়ে পড়তাম তাও তোমাকে কাছে পেতাম না। তখন তুমি অন্যের সেবায় ব্যস্ত থাকতে। তবে আমি সবসময় তোমাকে নিয়ে ভীষণ গর্ববোধ করি। তুমি খুব ভালো একজন মানুষ। কাজের ফাঁকে যখনই তুমি বাড়িতে থাকতে সব সময় আমাদের দায়িত্ব নিতে, খেয়াল রাখতে। বিয়ের পরেই আমি আমার জীবন পরিপূর্ণভাবে বেঁচেছি, তার আগে শুধুই কাজ নিয়ে ব্যস্ত থাকতাম আমি। ’
বাংলাদেশ সময়: ২১:৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২৫
এনএটি