প্রায় ৩৭ বছর সাংসার জীবন অতিবাহিত করছেন গোবিন্দ এবং সুনীতা আহুজা। রুপালি পর্দায় আসার আগেই সুনীতাকে বিয়ে করেছিলেন গোবিন্দ।
শোনা যাচ্ছে, ২০২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর সুনীতা নাকি বান্দ্রা পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন জানিয়েছিলেন। সেই সময় অভিনেতাকে তলব করা হলেও তিনি যাননি। শুধু তাই নয়, গোবিন্দ আদালতের কাউন্সেলিং অধিবেশনেও উপস্থিত ছিলেন না। বোঝাই যাচ্ছে, গত বছর থেকেই তাদের দাম্পত্যে চিড় ধরতে শুরু করেছিল।
হাউটার ফ্লাইয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, গোবিন্দর বিরুদ্ধে সুনীতা প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন। সুনীতার অভিযোগ, বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে আবদ্ধ গোবিন্দ, যে কারণে স্বামীর সঙ্গে আর থাকতে চান না তিনি। তবে আদালত তলব করলে গোবিন্দ উপস্থিত না থাকলেও প্রতিবার আদালতে উপস্থিত ছিলেন সুনীতা।
সুনীতা যে গোবিন্দর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক নিয়ে ভীষণ চিন্তিত তার আভাস পাওয়া গিয়েছিল সুনীতার ইউটিউব চ্যানেল থেকে। একটি ভিডিওতে সুনীতা বলেছিলেন, ‘আমি ঈশ্বরের কাছে বারবার প্রার্থনা করছি যাতে আমার বিয়ে বেঁচে যায় এবং আমি ভালোভাবে জীবন যাপন করতে পারি। আমি মাকে সম্পূর্ণভাবে বিশ্বাস করি এবং আমি জানি যে আমার সংসার ভাঙবে, মা কালী তার গলা কেটে দেবে। ’
কাঁদতে কাঁদতে সুনীতা আরও বলেছিলেন, ‘যে আমার ঘর ভাঙার চেষ্টা করবে, যে আমার মনকে আঘাত করার চেষ্টা করবে, তার ভালো হবে না। একজন ভালো মানুষকে এইভাবে আঘাত দেওয়া উচিত নয়। আমি এখন আর কাউকে বিশ্বাস করি না। ’
প্রসঙ্গত, গোবিন্দর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের কথা প্রকাশ্যে না আনলেও সুনীতা বারবার বলেছিলেন তিনি বেশ কয়েক মাস ধরে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে আলাদা থাকেন। চলতি বছর জন্মদিনেও একা নিজের সঙ্গে সময় কাটাতে দেখা গিয়েছে সুনীতাকে, যদিও প্রতি বছর তিনি একাই জন্মদিন কাটান। তবে এই বছর সুনীতার ভাবভঙ্গি দেখে কিছু মানুষ আন্দাজ করেছিলেন হয়তো সবকিছু ঠিক নেই।
উল্লেখ্য, মাত্র ১৮ বছর বয়সে গোবিন্দর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল সুনীতার। ১৯৮৭ সালের ১১ মার্চ তাদের দুজনের বিয়ে হয়। দুই সন্তান যশবর্ধন এবং টিনার বাবা-মা তারা।
এনএটি