ঢাকা, শুক্রবার, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ জুন ২০২৪, ২০ জিলহজ ১৪৪৫

তারার ফুল

মুক্ত বিহঙ্গের মতো মুক্তি

কামরুজ্জামান মিলু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৪
মুক্ত বিহঙ্গের মতো মুক্তি ছবি : নূর /বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

সাত বছর আগের কথা। দিলখুশকে তখন কে না চিনতো! ‘রঙের মানুষ’ ধারাবাহিক নাটকের ওই চরিত্রটি মুক্তির মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল।

এর সুবাদেই তিনি পান ব্যাপক পরিচিতি।

ছোটপর্দার গন্ডি পেরিয়ে দর্শক মুক্তিকে দেখেছে বড় পর্দায়ও। সাত বছর আগে হাসিবুল ইসলাম মিজানের ‘তুমি আছো হৃদয়ে’ ছবির মাধ্যমে রূপালি পর্দায় তার অভিষেক হয়। গত বছর শাহাদাৎ হোসেন লিটন পরিচালিত ‘জোর করে ভালোবাসা হয় না’ ছবিতে শাকিব খানের বিপরীতে অভিনয় করেন তিনি।

এরপর আর কোনো নতুন চলচ্চিত্রে দেখা যায়নি তাকে। এর কারণ কী? মুক্তির ভাষ্য, চলচ্চিত্র শিল্পে পেশাদারিত্বের কমতি আছে বলে মনে হয়েছে আমার। শিল্পীদের সঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছেন না নির্মাতারা। আর শুধু ভালো অভিনয় হলেই চলে না, দলগত কাজ হওয়া দরকার। আমাদের মৌলিক গল্পেরও অভাব রয়েছে। নিজেকে যথাযথভাবে উপস্থাপনের সুযোগ পেলে আর মানানসই চরিত্র হলেই আবার ছবিতে কাজ করব। ’

অবশ্য বিনোদনের আঙিনায় আয়েশা সালমা মুক্তির অভিষেক ছোটবেলায়। এমনকি বিনোদন বিচিত্রা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় কনিষ্ঠ প্রতিযোগী ছিলেন তিনিই। ছোটবেলা থেকেই শিশু একাডেমী, সুরঙ্গমা এবং বাফায় নাচ শিখেছেন মুক্তি। নৃত্যশিল্পী হিসেবেও তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘হুট করেই বিনোদন অঙ্গনে এসেছি। প্রথমে নৃত্যশিল্পী, এরপর মডেল ও অভিনেত্রী। তবে প্রথম অভিনয় করি মিনহাজুর রহমানের পরিচালনায় ‘অগ্নিগিরি’ নাটকে। এরপর তো ধীরে ধীরে অনেকটা সময় পেরিয়ে গেল। ’

সত্যিই, দেখতে দেখতে মুক্তির মুক্ত বিহঙ্গের মতো পথচলার কয়েক বছর কেটে গেলো। ‘চারকন্যা’, ‘হাউজ নাম্বার ৭৭৭’, ‘দুরত্ব’, ‘ চতুরঙ্গ’, ‘গ্রামের বউ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় নাটকে অভিনয় করেছেন তিনি। এ ছাড়া ফুজি ফেয়ারনেস ক্রিম, ইকোনো বলপেন, সার্ফ এক্সেলের বিজ্ঞাপনচিত্রেও মডেল হতে দেখা গেছে তাকে।

মুক্তি বেড়ে উঠেছেন ঢাকাতেই। তার বাবা শেখ আবদার রহমান একজন মুক্তিযোদ্ধা। তাই তিনি মেয়ের নাম রেখেছেন মুক্তি। মা রোকেয়া রহমান আর ভাইবোনকে নিয়ে উত্তরায় থাকেন মুক্তি। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ হওয়ায় একটু বেশিই আদুরে তিনি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশোনা শেষ করেছেন মুক্তি।

এখন একুশে টিভিতে শিমুল সরকারের ‘মামার হাতের মোয়া’ এবং বাংলাভিশনে দেবাশীষ বড়ুয়া দীপের ‘হাওয়ায় মিঠাই’ ধারাবাহিক দুটিতে নিয়মিত দেখা যাচ্ছে মুক্তিকে। আসন্ন ঈদের কয়েকটি নাটকে কাজও করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সালাহউদ্দিন লাভলুর সাত পর্বের নাটক ‘রঙের মানুষরা এখন কেমন আছে’। এটি ‘রঙের মানুষ’ নাটকের নতুন কিস্তি। এতে কাজ করতে গিয়ে স্বাভাবিকভাবেই অন্যদের মতো অতীতকাতরতা চলে এসেছিল মুক্তির মধ্যে। ঈদেও জন্য অন্তর রায়ের ‘হারমনি’ এবং শহীদ-উন-নবীর ‘সমগ্র পরিবার এক ম্যাট্রিক টন’ নাটকেও কাজ করেছেন তিনি।

এখন নাটকে অভিনয় করলেও চলচ্চিত্রে নিয়মিতই কাজের ইচ্ছে আছে মুক্তির। ভালো লাগে রাজ্জাক, কবরী, শাবানার অভিনয়। সুযোগ পেলেই তাদের অভিনীত ছবি দেখতে বসে যান।  

এবার বিয়ে নিয়ে মুক্তির পরিকল্পনা জানার পালা। এই প্রশ্নটা করলে সব মডেল-অভিনেত্রীর মিশ্র প্রতিক্রিয়া হয়। তবে মুক্তি সোজাসুজি বলে দিলেন, যোগ্যপাত্র ও পরিবারের সম্মতি নিয়েই বিয়ে করতে চাই। তবে বিনোদন অঙ্গনের কারও সঙ্গে ঘর বাঁধতে চাই না। ’

বাংলাদেশ সময় :  ১৯৪০ ঘণ্টা, জুলাই ২৩, ২০১৪

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।