বিশিষ্ট চলচ্চিত্র পরিচালক বেলাল আহমেদ আর নেই। ১৮ আগস্ট সকাল সাড়ে ১০টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালে মারা যান তিনি।
এফডিসিতে ১৮ আগস্ট বাদআসর নামাজে জানাজা শেষে বনানীর কবরস্থানে বেলাল আহমেদের মরদেহ দাফন করা হবে।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার বাংলানিউজকে বলেন, ‘হঠাৎ করেই আমাদের ছেড়ে চলে গেলেন তিনি। আমরা একজন জনপ্রিয় নির্মাতাকে হারালাম। ’
বেলাল আহমেদের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতির (বাচসাস) সভাপতি আবদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইকবাল করিম নিশান।
১৯৪৮ সালের ২৮ নভেম্বর জামালপুরে জন্মেছিলেন বেলাল আহমেদ। ষাটের দশকে কাজী জহির পরিচালিত ‘বন্ধন’ ছবির শিশুশিল্পী হিসেবে চলচ্চিত্রাঙ্গনে আগমন তার। ১৯৬৭ সালে পরিচালক নজরুল ইসলামের সঙ্গে ‘স্বরলিপি’তে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন বেলাল আহমেদ। এটি মুক্তি পায় ১৯৭০ সালে। পরে অনেক পরিচালকের সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৭৬ সালে প্রথম পরিচালক হন ‘নাগরদোলা’র (ফারুক, সুচরিতা) মাধ্যমে। অন্যান্য ছবির মধ্যে রয়েছে ‘আমানত’, ‘গঙ্গা যমুনা’ (ওয়াসিম, রোজিনা), ‘নয়নের আলো’ (জাফর ইকবাল, সুবর্ণা মুস্তাফা, কাজরী), ‘ঘর আমার ঘর’, ‘সাক্ষী প্রমাণ’, ‘ক্রিমিনাল’ প্রভৃতি।
নব্বই দশকে দীর্ঘ বিরতিতে যান বেলাল আহমেদ। ২০০৫ সালে হুমায়ূন আহমেদের জনপ্রিয় উপন্যাস ‘নন্দিত নরকে’ অবলম্বনে একটি ছবি পরিচালনা করেন তিনি। এতে অভিনয় করেন ফেরদৌস, সুমনা সোমা, লিটু আনাম প্রমুখ।
মাহমুদুল হকের 'মাটির জাহাজ' উপন্যাস অবলম্বনে সরকারি অনুদানে ‘অনিশ্চিত যাত্রা’ (আজাদ আবুল কালাম) ছবিটি পরিচালনা করেন বেলাল আহমেদ। সর্বশেষ ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রযোজনায় মৌসুমী ও নিলয়কে নিয়ে ‘ভালোবাসবোই তো’ নামের একটি চলচ্চিত্র পরিচালনা করছিলেন তিনি। এর ৫০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। এ ছাড়া আগামী নভেম্বর থেকে ‘ভুল মানুষ’ নামে একটি ছবির কাজ করার কথা ছিল তার।
বাংলাদেশ সময় : ১৩৩৫ ঘণ্টা, আগস্ট ১৮, ২০১৪