ঢাকা, সোমবার, ৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে শাকিব খান

বিনোদন প্রতিবেদক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬১১ ঘণ্টা, মার্চ ৬, ২০১১
এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে শাকিব খান

চলচ্চিত্রের অভিনেতা-অভিনেত্রীদের সম্মিলিত প্লাটফর্ম বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি। ঢালিউডের এই সময়ের শীর্ষ নায়ক শাকিব খান আসন্ন চলচ্চিত্র সমিতির নির্বাচনে অংশ নিতে যাচ্ছেন ।

তিনি সভাপতি পদে প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।

বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রাথী হওয়া প্রসঙ্গে বাংলানিউজকে শাকিব খান বলেন, আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পের ঐতিহ্যবাহী সংগঠন শিল্পী সমিতি। আমার শিল্পীজীবনের আইডল নায়করাজ রাজ্জাক, ফারুক, শাবানাসহ খ্যাতনামা সিনিয়র শিল্পীদের গড়া এই শিল্পী সমিতির দায়িত্বভার আমি গ্রহণ করতে চাই। কারণ অতীতে শিল্পী সমিতি চলচ্চিত্রশিল্পের উন্নয়ণে যে ভূমিকা পালন করেছে, গত কয়েক বছর ধরে সেই ধারাবাহিকতা বজায় ছিল না। আমি চাই শিল্পী সমিতিকে আবারও সক্রিয় ভূমিকায় দেখতে চাই। আমার ধারণা নের্তৃত্ব পেলে আমি সমিতির বর্তমান অনুজ্জ্বল চেহারাটা পাল্টে দিতে পারবো। এই  ইচ্ছে থেকেই আমার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে অংশ নেয়া।

অনেক খ্যাতনামা শিল্পীই বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সমিতির নের্তৃত্ব দিয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে সিংহভাগই সাফল্য পান নি। সংগঠনকে গতিশীল করতে পারেন নি। কারণ অভিনয় নিয়ে ব্যস্ততার কারণে অনেকের পক্ষেই সমিতির সাংগঠনিক কাজে সেভাবে সময় দেয়া সম্ভব হয় নি। এ প্রসঙ্গে শাকিব খানের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বললেন, এটা ঠিক যে শুটিং নিয়ে আমাকে সাংঘাতিক ব্যস্ত থাকতে হয়। এই ব্যস্ততা তো চলচ্চিত্র নিয়ে। সদিচ্ছা থাকলে ব্যস্ততার মধ্যেও যে কোনো ভালো উদ্যোগ নেয়া সম্ভব। এই শিল্পী সমিতির নের্তৃত্বে একসময় ছিলেন প্রয়াত নায়ক মান্না ভাই। ক্যারিয়ার নিয়ে সাংঘাতিক ব্যস্ত থাকার পরও তাকে দেখেছি শিল্পীদের জন্য সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করতে। চলচ্চিত্র থেকে অশ্লীলতা দমন বা পাইরেসি প্রতিরোধে তিনি ছিলেন সোচ্চার। আমার  মনে হয়েছে, শিল্পী সমিতির নের্তৃত্ব পেলে আমি এরকমই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারবো। নির্বাচনে আমার এই অংশগ্রহণ বর্তমানে শিল্পী সমিতির জন্য বিশেষভাবে প্রয়োজন।

চলচ্চিত্র সমিতির সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হলে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন? উত্তরে শাকিব খান বললেন, আমি চলচ্চিত্রে দুঃস্থ ও অসহায় শিল্পীদের জন্য কিছু করতে চাই। এটা ব্যক্তিগতভাবে না করে আমি সমিতির প্লাটফর্ম থেকে করাটাকেই আমি ভালো মনে করি। যেমন: আমি নিজের উপার্জন থেকে একটা তহবিল গঠন করেছি। এটা আমি সমিতির ফান্ডে প্রদান করতে চাই। এই ফান্ড দুঃস্থ ও সিনিয়র শিল্পীদের সেবায় ব্যয় করা হবে। আমি মনে করি এখনো চলচ্চিত্র থেকে পুরোপুরি অশ্লীলতা দূর হয় নি। শিল্পী সমিতিতেই কিছু চিহ্নিত কুরুচিপূর্ণ শিল্পী নামের অশিল্পী রয়েছেন, তাদের শিল্পী সমিতি থেকে উচ্ছেদ করাও আমার এই নির্বাচনের আরেকটি অঙ্গীকার। এছাড়াও আমি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সভাপতি নির্বাচিত হলে শিল্পী সমিতিকে সরকারি ও বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা প্রাপ্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেব এবং সব শিল্পীকেই এক ছাদের নিচে দাঁড় করিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবো।

সবশেষে শাকিব খান বললেন, আমি নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার আগে আমার গুরুতুল্য শিল্পী নায়করাজ রাজ্জাক, সোহেল রানা, আলমগীর, ফারুক, ববিতা, আনোয়ারা প্রমুখদের সঙ্গে যোগাযোগ করে তাদের মতামত নিয়েছি। তাদের দোয়া নিয়েই আমি এবার শিল্পী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি পদে প্রার্থী হয়েছি।

বাংলাদেশ সময় ১৫৩০, মার্চ ০৬, ২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।