বড়দিন মানেই উৎসবের আমেজ। ২৫ ডিসেম্বর মহাসমারোহে বড়দিন উদযাপন করা হচ্ছে বিশ্বজুড়ে।
* দ্য মাপেট ক্রিসমাস ক্যারোল
১৯৯২ সালে ছবিটি মুক্তি দেয় ওয়াল্ট ডিজনি পিকচার্স। এতে বলা হয়েছে এক ভূতের গল্প। সঙ্গে মিশিয়ে দেওয়া হয়েছে জাদু আর সময়কে অতিক্রম করার রোমাঞ্চ। চার্লস ডিকেন্সের ‘অ্যা ক্রিসমাস ক্যারোল’ অবলম্বনে সাজানো হয়েছে সংগীত-নির্ভর ফ্যান্টাসি-কমেডি ছবিটি। দ্য মাপেটসদের নিয়ে চতুর্থ ছবি এটি। ‘দ্য মাপেট ক্রিসমাস ক্যারোল’ মূলত মাইকেল কেইনের অসাধারণ অভিনয়ের জন্য স্মরণীয় হয়ে আছে।
* দ্য স্নোম্যান
মাত্র ২৬ মিনিট ব্যাপ্তির ছবিটি দেখলে মনে হবে পুরোটাই জাদু! ১৯৮২ সালে মুক্তি পায় এটি। রেমন্ড ব্রিগসের শিশুতোষ গ্রন্থ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ডায়ানে জ্যাকসন পরিচালিত এই অ্যানিমেটেড ছবি। এর গল্প এক ইংরেজ বালককে ঘিরে। এক বড়দিনের সন্ধ্যায় তুষারমানবে পরিণত হয় সে।
* মিট মি ইন সেন্ট লুই
ভিনসেন্ট মিনেলির ১৯৪৪ সালের ছবিটিতে অভিনয় করেছেন কিংবদন্তি অভিনেত্রী জুডি গারল্যান্ড। পরবর্তী সময়ে তারা বিয়ের বন্ধনে জড়ান। ছবিটির গল্প ১৯০৪ সালে অনুষ্ঠিত লুসিয়ানা বিশ্ব বাণিজ্য মেলা চলাকালে সেন্ট লুইয়ে বসবাসকারী মার্কিন এক পরিবারকে ঘিরে। স্যালি বেনসনের ছোটগল্প সমগ্র অবলম্বনে সাজানো হয় এর চিত্রনাট্য।
* হোয়াইট ক্রিসমাস
১৯৫৪ সালের এ ছবিটিকে বলা হয়েছে ছুটির মৌসুমে আনন্দের সেরা উপকরণ। এর গল্পে দেখা যায়, মার্কিন সেনাবাহিনীর প্রাক্তন কমান্ডার জেনারেলের সম্মানে নাচে-গানে ভরপুর নৃত্যনাট্য পরিবেশনের পরিকল্পনা করে এক দম্পতি। সংগীতনির্ভর রোমান্টিক-কমেডি ছবিটিতে ব্যবহার হয়েছে আর্ভিং বার্লিনের বেশ কয়েকটি কালজয়ী গান। মাইকেল কার্টিজের পরিচালনায় এতে অভিনয় করেছেন বিং ক্রসবি, ড্যানি কেই, রোজম্যারি ক্লুনি ও ভেরা-এলেন।
* অ্যা স্টার ইন দ্য নাইট
এর দৈর্ঘ্য মাত্র ২২ মিনিট। ১৯৪৫ সালের এ ছবির মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন ডন সিগেল। ১৯৪৬ সালের অস্কারে এটি সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের পুরস্কার জেতে। আমেরিকার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মরুভূমিতে গড়ে ওঠা এক হোটেলে বড়দিনের সন্ধ্যার আবহ তুলে ধরা হয়েছে এতে।
* গোইং মাই ওয়ে
নিজের ছোটগল্প অবলম্বনে ১৯৪৪ সালের এই সংগীতনির্ভর কমেডি ছবি পরিচালনা করেন লিও ম্যাকক্যারি। অস্কারে সেরা ছবিসহ সাতটি শাখায় পুরস্কার জিতেছিলো এটি। হলিউডের চলচ্চিত্র ইতিহাসে সেরা প্রশংসিত ছবির মধ্যে অন্যতম ধরা হয় এই ছবিকে। নিউইয়র্ক শহরের এক দরিদ্র রোমান ক্যাথলিক যাজকের দৈনন্দিন জীবনের ছন্দ তুলে ধরা হয়েছে এতে। শ্রেণীবৈষম্য ও জাতিগত বিশ্বাসের গভীরবোধ পাওয়া যায় গল্পটিতে। এই চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিং ক্রসবি। তার সহশিল্পী ছিলেন ব্যারি ফিৎজেরাল্ড।
* অ্যা ক্রিসমাস ক্যারোল
১৮৪৩ সালে প্রকাশিত চার্লস ডিকেন্সের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ছবিটি। কঞ্জুস বৃদ্ধ ইবিনেজার স্ক্রুজকে ঘিরেই এর গল্প। বড়দিনের সকালে তার ব্যক্তিত্বে বড়সড় পরিবর্তন দেখা দেয়। এ চরিত্রে অভিনয় করেছেন রেজিনাল্ড ওয়েন। ১৯৩৮ সালের ছবিটি পরিচালনা করেন এউইন এল ম্যারিন।
* অ্যা ক্রিসমাস স্টোরি
১৯৮৩ সালের এই কমেডি ছবিটি তৈরি হয়েছে জ্যঁ শেফার্ডের ছোটগল্প ও কাল্পনিক উপাখ্যান মেশানো গ্রন্থ ‘ইন গড উই ট্রাস্ট : অল আদার্স পে ক্যাশ’ অবলম্বনে। শৈশবে বড়দিনের আনন্দের আবহ এতে নিপুণভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক বব ক্লার্ক। দুই বছর আগে আমেরিকার জাতীয় চলচ্চিত্র সংগ্রহশালায় সংরক্ষণের জন্য নির্বাচিত হয় এটি।
* দ্য বিশপ’স ওয়াইফ
এটি ‘ক্যারি অ্যান্ড দ্য বিশপস ওয়াইফ’ নামেও পরিচিত। রবার্ট নাথানের উপন্যাস অবলম্বনে ছবিটি পরিচালনা করেছেন হেনরি কস্টার। এর গল্পে এক দেবদূতকে ঘিরে। এক যাজককে তার নানা সমস্যা কাটিয়ে ওঠার ক্ষেত্রে সহায়তা করে যায় সে। ১৯৪৭ সালের এই রোমান্টিক-কমেডি ছবিতে অভিনয় করেছেন ক্যারি গ্র্যান্ট, লরেট্টা ইয়াং ও ডেভিড নিভেন।
* দ্য শপ অ্যারাউন্ড কর্নার
হাঙ্গেরিয়ান মঞ্চনাট ‘পারফিউমেরি’ অবলম্বনে তৈরি হয়েছে ১৯৪০ সালের এই রোমান্টিক-কমেডি ছবিটি। এর প্রেক্ষাপট দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ। বুদাপেস্টের এক উপহারসামগ্রীর দোকানের দুই চাকরিজীবীকে ঘিরেই এগিয়েছে কাহিনী। ধীরে ধীরে তারা একে অপরের প্রেমে পড়ে। আর্নেস্ট লুবিৎশ পরিচালিত এ ছবিতে অভিনয় করেছেন জেমস স্টুয়ার্ট, মার্গারেট সুলাভ্যান ও ফ্রাঙ্ক মর্গ্যান। টাইম সাময়িকীর সর্বকালের সেরা ১০০ ছবির তালিকায় স্থান পেয়েছে ‘দ্য শপ অ্যারাউন্ড কর্নার’। ১৯৯৯ সালে আমেরিকার জাতীয় চলচ্চিত্র সংগ্রহশালায় সংরক্ষণের জন্য নির্বাচিত হয় এটি।
বাংলাদেশ সময় : ১৪০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৫, ২০১৪