প্রেমে পড়ার ঝুঁকিতে জড়াতে চান পরিণীতি চোপড়া। ফিল্মফেয়ার সাময়িকীকে তিনি সোজাসুজি একথা বলেছেন।
বলিউডে একা আছেন এমন আবেদনময়ী অভিনেত্রীদের মধ্যে পরিণীতির নাম আছে ওপরের সারিতে। অন্য নায়িকাদের মতো ‘প্রেমের জন্য সময় নেই’ ধরনের মুখস্ত কথা বলতে নারাজ তিনি।
অতীতে কাজের ব্যস্ততার কারণে পরিণীতি প্রেম করার সময় পাননি বলা চলে। তাই মন ভাঙার কষ্ট পাওয়া হয়নি তার। তবে দুই ছেলের মন ভেঙেছিলেন তিনি। প্রেমে ছ্যাঁকা খাওয়ার দুঃসময় উতরে ওঠা মানুষই সুঅভিনেতা হতে পেরেছেন বলে মনে করেন তিনি। তবে নিজের বেলায় এমনটি চান না পরিণীতি। যদি প্রেমে পড়ে কখনও মন ভাঙে হতাশ তো হবেনই, তার কান্নাও নাকি আর থামবে না! ফিল্মফেয়ার সাময়িকীকে দেওয়া পরিণীতির সাক্ষাৎকারের চুম্বক অংশ দেখে নিন।
‘কিল/দিল’ ছবিতে রণবীর সিংয়ের সঙ্গে আপনার রসায়ন ছিলো মনকাড়া। তার সঙ্গে কেমন সম্পর্ক আছে আপনার?
পরিণীতি : ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ তৈরির সময় রণবীর সিংয়ের জন্য জনসংযোগ করতাম। এখন আমি তার নায়িকা। আমরা একই বাড়ির দুই আলো বলতে পারেন। কারণ আমরা দু’জনই প্রাণচঞ্চল। আমরা প্রাণ খুলে হাসতে পারি। আমার দেখা অন্যতম দরদি একজন মানুষ তিনি। সবাইকেই স্নেহে ভরিয়ে দেন রণবীর। ‘কিল/দিল’ ছবির পরিচালক শাদ আলি সবসময় আমাদেরকে শান্ত মনোভাব রাখতে বলতেন। তাছাড়া এ ছবিতে গোবিন্দও ছিলেন। পুরো ইউনিট ছিলো হাসিখুশি। রণবীর আর আমি সোরগোল তুলে সেটে ঢুকতাম। এখানে আমি একটি বিষয় শিখেছি- মানুষ একই কারণে একজনকে পছন্দ করতে পারে, আবার মুখ ফিরিয়েও নিতে পারে। কারও কাছে যদি আমার চঞ্চলতা ভালো লাগে, অন্যরা হয়তো বলবে এসব কী! রণবীরকে বেশিরভাগ সময় লোকে ভুল বোঝেন। তার মুখে সবসময় হাসি থাকে না। তিনি স্পর্শকাতর ও আবেগপ্রবণ।
বলিউড নিয়ে ভাবেন এমন আর কি আছে?
পরিণীতি : আমার মানসিক শক্তি বাড়াতে এটা সহায়ক ভূমিকা পালন করেছে। এখানে খুব সহজেই যে কেউ হতাশ হয়ে পড়তে পারে। দর্শকই তারকাদের ভাগ্য নির্ধারণ করে এখানে। একদিন আমার প্রতি দর্শকদের একঘেয়েমি চলে আসতেই পারে। এখনও আমি একই আছি। এ নিয়ে আমার কিছুই করার নেই। তাই অনেক তারকার কাজ হুট করেই কমে যায়। তার মানে এই নয় যে, তারা মুখ বদলে নিয়েছেন কিংবা খারাপ অভিনয় করছেন। ধরে নিতে হবে তাদের প্রতি মানুষের একঘেয়েমি চলে এসেছে। প্রতি মিনিটে অভিনয়, পোশাক, সাজগোজ, চুক্তিনামা এমনকি মামুলি একটা টুইটার বার্তার জন্যও আপনাকে পরখ করা হবে। ক্রমাগত নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সম্মুখীন হতে হয় এখানে।
পরখ করার ব্যাপারটি কি আপনাকে হতাশ করে?
পরিণীতি : সবসময়! এটা বিরক্তিকর। ভাবুন তো আপনি সবসময় যা পরছেন সেদিকে প্রতিনিয়ত সজাগ থাকতে হয়। এটা আমার কাছে বাজে মনে হয়। আমি যা চাই তা-ই পরি। রাতদিন সবসময় সেজেগুজে থাকি না। পর্দার বাইরে কারও মন জয় করার জন্য আসিনি।
রণবীর সিংয়ের পর আর কোন অভিনেতার সঙ্গে কাজটা উপভোগ্য লেগেছে?
পরিণীতি : আমার প্রিয় সহশিল্পী আদিত্য রায় কাপুর (দাওয়াত-এ-ইশ্ক)। তার সঙ্গে অনেক কিছুতে আমার মিল আছে। তিনি বাস্তববাদী। তার মধ্যে কোনো ভনিতা নেই। আমরা ভালো রসিকতা করি। অর্জুন কাপুরের (ইশাকজাদে) সঙ্গেও আমি অনেক ঘনিষ্ঠ। কারণ আমরা দু’জন একসঙ্গে ক্যারিয়ার শুরু করেছি। সিদ্ধার্থ মালহোত্রাও (হাসি তো ফাঁসি) আমার কাছের।
বলিউডের কারও সঙ্গে প্রেম করবেন?
পরিণীতি : অবশ্যই। কেনো নয়?
বরুণ ধাওয়াণ এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, তিনি কোনো অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রেম করবেন না...
পরিণীতি : অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে প্রেম করা পুরোপুরি ভিন্ন একটি প্রশ্ন। চলচ্চিত্র শিল্পের কারও সঙ্গে প্রেম করার আর একজন অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে প্রেম করা দুটি আলাদা বিষয়। অভিনয়শিল্পীর সঙ্গে প্রেম করা কঠিন। মনে হয় না আমি তা করতে পারবো।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৪