ড্রিমওয়ার্কস অ্যানিমেশনের জনপ্রিয় ছবি ‘মাদাগাস্কার’-এর পেঙ্গুইনগুলোর কথা নিশ্চয়ই মনে আছে। সুপার স্মার্ট পেঙ্গুইনদের কাছে সবসময়ই সবকিছুর সমাধান থাকে।
‘মাদাগাস্কার’ সিরিজের সবশেষ পর্ব ‘মাদাগাস্কার থ্রি : ইউরোপ’স মোস্ট ওয়ান্টেড’-এর নতুন কিস্তি এটি। এরিক ডারনেল ও সায়মন জে স্মিথের যৌথ পরিচালনায় এটি যুক্তরাষ্ট্রে মুক্তি পায় গত ২৬ নভেম্বর। ১৩ কোটি ২০ লাখ ডলার বাজেটের নির্মল বিনোদনের ছবিটি যুক্তরাষ্ট্রে দর্শকদের সাড়া পাওয়ায় ঘরে তুলেছে প্রায় ২৩ কোটি মার্কিন ডলার।
‘পেঙ্গুইন্স অব মাদাগাস্কার’ ছবিতে দেখা যায়, মাদাগাস্কারের বিরল আর অকুতোভয় চার পেঙ্গুইন- স্কিপার, কাওয়ালস্কি, রিকো আর প্রাইভেটের সামনে তাদের জীবনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জের নাম ড. অক্টাভিয়াস ব্রাইন নামের একটি অক্টোপাস। এই বিপথগামী বিজ্ঞানী শপথ করেছে তাদের প্রজাতিকে পৃথিবীর বুক থেকে নিশ্চিহ্ন না করে সে ক্ষান্ত হবে না। এই সময় তাদের পাশে এসে দাঁড়ায় নর্থ উইন্ড নামে এক গোপন সংগঠন আর তার নেতা হাস্কি জাতের মেরু কুকুর এজেন্ট ক্লাসিফাইড। এরপরেই শুরু হয় নতুন রোমাঞ্চ। পৃথিবী আর পেঙ্গুইনদের বাঁচানোর জন্য শুরু হয় এক নতুন অভিযান।
স্টার সিনেপ্লেক্সের সিনিয়র ম্যানেজার (মিডিয়া, বিপণন শাখা) মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চমৎকার অ্যানিমেশন আর নির্মাণশৈলীর কারণে ছবিটি দর্শকদের মুগ্ধ করেছে। শিশু-কিশোরদের পাশপাশি সব বয়সী দর্শকের জন্যই দারুণ উপভোগ্য একটি ছবি হিসেবে এটি দৃষ্টি কেড়েছে সমালোচকদেরও। তাই নতুন বছরের শুরুতেই এটি ঢাকায় ত্রিমাত্রিক প্রযুক্তিতে মুক্তি দিচ্ছি আমরা। ’
ঢাকায় ‘পেঙ্গুইন্স অব মাদাগাস্কার’ মুক্তি উপলক্ষে ১ জানুয়ারি সন্ধ্যায় আমন্ত্রিত অতিথিদের জন্য ছবিটির একটি বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৩০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪