বক্স অফিসে বিস্ময় জাগিয়ে মারকাটারি ব্যবসায়িক সাফল্য পেলেও আমির খানের ‘পিকে’র বিরুদ্ধে ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে বিক্ষোভ চলছে। উত্তর প্রদেশের আগ্রা ও মাউ, মধ্যপ্রদেশের ভোপাল, গুজরাতের আহমেদাবাদে অবিরাম বিক্ষোভ চলছে।
দেশটির হিন্দু সংগঠনগুলো ছবিটির বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগ তুলে এর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির জন্য ৩০ ডিসেম্বর গুজরাত ও আহমেদাবাদের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে ভাঙচুর করে বিক্ষোভ জানিয়েছে বজরঙ দল।
জানা গেছে, ‘পিকে’ প্রদর্শনের প্রতিবাদে আহমেদাবাদের সিটি গোল্ড এবং শিব প্রেক্ষাগৃহে সোমবার ব্যাপক ভাঙচুর চালায় বজরং দল এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীরা। মধ্যপ্রদেশের ভোপালেও প্রেক্ষাগৃহের বাইরে আমির ও ছবিটির নির্মাতাদের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ মিছিল করেন বজরং দলের কর্মীরা। একই চিত্র দেখা গেছে উত্তরপ্রদেশের অযোধ্যাতেও।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিজেপি শাসিত কয়েকটি রাজ্যের সব প্রেক্ষাগৃহের বাইরে মোতায়েন করা হয়েছে প্রচুর পুলিশ। বিজেপি নেতা সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অভিযোগ তুলেছেন, দুবাইয়ের মাফিয়ারা ও পাক গুপ্তচর সংস্থা আইএসআই ‘পিকে’ নির্মাণে অর্থলগ্নি করেছে। তিনি রাজস্ব গোয়েন্দা বিভাগকে তদন্ত করার দাবি তুলেছেন তিনি। ‘পিকে’র বিরোধিতায় নেমেছেন রামদেবও।
তবে ছবিটিকে সমর্থনও জানাচ্ছেন অনেকে। প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী ‘পিকে’ দেখে মুগ্ধ। ‘পিকে’ মুক্তির পর থেকেই দেশজুড়ে বিক্ষোভ শুরু হয়েছে। ভারতের অনেক রাজ্যে পরিচালক রাজকুমার হিরানির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। যদিও সুপ্রীম কোর্ট সব অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে। এ ছাড়া আপত্তি ওঠা দৃশ্যগুলো কাটছাঁট করা হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে সেন্সর বোর্ড।
বাংলাদেশ সময় : ২০১৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৪