ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

ফারুকীর সঙ্গে চঞ্চল, মাঝে ১১ বছর!

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৫
ফারুকীর সঙ্গে চঞ্চল, মাঝে ১১ বছর! মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও চঞ্চল চৌধুরী

সাল ২০০৪। টিভি পর্দায় ভেসে উঠলো একটি লঞ্চ।

তার ওপর কয়েকজন ছেলে গলা ছেড়ে গাইছে- ‘পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহভরা কোলে তব, মা-গো বলো কবে শীতল হবো’। লঞ্চে একটি ছেলে বসা। মনখারাপের ছেলেটি শহর থেকে বাড়ি ফিরছে। মায়ের কাছে ফিরছে। তার চোখে কতো কান্না, কতো আনন্দ! মায়ের জন্য সে উপহার নিয়ে যাচ্ছে- একটি মোবাইল। গ্রামীণফোনের বিজ্ঞাপনচিত্র ছিলো এটি।

এতে ছেলেটির নির্বাক চাহনি, আবেগী কণ্ঠস্বর কাঁদিয়েছে অনেক মানুষকে। বিজ্ঞাপনচিত্রটি দেখলেই দর্শকের বুক জুড়ে বয়ে যেতো শীতল দীর্ঘশ্বাস। মানুষ ছেলেটিকে খুঁজতে শুরু করলো। কে সে? ধীরে ধীরে তারা জানলো ছেলেটির নাম- চঞ্চল চৌধুরী। চঞ্চলের প্রথম বড় কাজ সেটি। ফারুকীর সঙ্গে চঞ্চলের প্রথম বিজ্ঞাপনচিত্র তো অবশ্যই, প্রথম কাজও।


ওই বিজ্ঞাপনচিত্রটি বানিয়েছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। এরপর তার কত নাটকেই তো অভিনয় করলেন চঞ্চল! ‘টেলিভিশন’ দিয়ে ফারুকী দিলেন চলচ্চিত্রের স্বাদ। সেখানেও চঞ্চল ছিলেন। এরপর সময় গড়িয়েছে। হার্ডিঞ্জ ব্রিজের তল দিয়ে গড়িয়েছে বহু জল। চঞ্চল জনপ্রিয় অভিনেতা হয়ে উঠেছেন।
কিন্তু ফারুকীর নির্দেশনায় বিজ্ঞাপনচিত্র আর করা হয়নি তার।

১১ বছর পর আবার ফারুকীর বিজ্ঞাপনচিত্রে চঞ্চল। বড় ঘটনা, খুশির তো অবশ্যই। তবে অভিনয় করেননি চঞ্চল, কণ্ঠ দিয়েছেন। তাতে কী! ফারুকীর বিজ্ঞাপনচিত্রে আবার চঞ্চলকে তো পাওয়া গেলো! এটাই অনেক। ১৩ জানুয়ারি রাতে কণ্ঠ দিতে স্টুডিওতে এসেছিলেন চঞ্চল। সেখানে মিলেমিশে ছবি তুললেন তারা। করলেন স্মৃতিচারণা।

ফারুকী তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘চঞ্চল চৌধুরী এগারো বছর পর আবার আমার একটা বিজ্ঞাপনের ভয়েস দেওয়ার জন্যে আসলেন। সময় কত দ্রুত যায় রে, ভাই! কেমনে কি?’

ফারুকীর নতুন বিজ্ঞাপনচিত্রটির প্রচার শুরু হবে শিগগিরই। কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, এতে মডেল হয়েছে এক শিশুশিল্পী।

বাংলাদেশ সময় : ১৬১৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১৬, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।