ঢাকা: সুষ্ঠু ধারার সঙ্গীত চর্চার মাধম্যে ভাওয়াইয়াসহ দেশীয় সংগীতের ধারাটিকে বাঁচিয়ে রেখে তা সারাবিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়ার আহবান জানিয়েছেন স্থানীয় সরকার প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা। সঙ্গীতের যে শাখায় যার সহজাত মেধা, তাকে সেই ধরনের সঙ্গীতের সাধনা করারও পরামর্শ দেন তিনি।
ভাইয়া গানের সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রসারে তিন মাসব্যাপী ভাওয়াইয়ার পঞ্চগীতিকবির কর্মশালার সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহবান জানান প্রতিমন্ত্রী।
শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর সেগুন বাগিচায় শিল্পকলা একাডেমীর জাতীয় সঙ্গীত ও নৃত্যকলাকেন্দ্র মিলনায়তনে অন্বেষণ করা ১১০ জন ভাওয়াইয়া শিল্পীর হাতে সনদপত্র বিতরণ এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে শিল্পকলা একাডেমীর প্রশিক্ষণ বিভাগ।
অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে শিল্পকলা একাডেমীর মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী বর্তমান অবরোধ-সহিংসতার প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, যারা মানুষ পুড়িয়ে মারে তারা সঙ্গীত ভালবাসে না। যে সুর ভালোবাসে না সেই তো অসূর। তারা যতই লম্পঝম্প করুক একদিন হারিয়ে যাবে।
সমাপনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী আলোচনায় আরো অংশ নেন বাংলাদেশ বেতারের মহাপরিচালক কাজী আখতার উদ্দিন আহমেদ, শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন বাংলা একাডেমির প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক মো. শাওকাত ফারুক, প্রখ্যাত ভাওয়াইয়া সঙ্গীতশিল্পী নাদিরা বেগম, ছায়ানটের শিক্ষক ড. জেসমিন বুলি।
প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, আলু কিনলাম, পটল কিনলাম আর বাড়ি গেলাম, এমন গান বেশি দেখা যাচ্ছে। গলা যাই হোক ড্রাম যেন জোরে বাজে, যাতে গলা শোনা না যায়।
সঙ্গীত শিক্ষার্থীদের পরামর্শ দিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, একজনকে সব রকম গান গাইতেই হবে এমন নয়। যার গলায় যেমন গান মানায় তার তেমন গানই সাধনা করা উচিত।
সরকার সঙ্গীতের বিকাশে সহায়তা দিচ্ছে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দেশীয় সংগীতের সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও প্রসারে উপকরণসহ সব ধরণের সহায়তা দেবে সরকার।
অনুষ্ঠানে ভাওয়াইয়া শিক্ষার্থীদের মধ্যে নিজ হাতে সনদ তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময় : ২০০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫