টম ক্রুজের সঙ্গে দেখা করতে এলে নিকোল কিডম্যানের ফোনে আড়িপাতা হতো। টম ও চার্চের প্রধান ডেভিড মিসক্যাভিজের পরামর্শে সায়েন্টোলজির চার্চের প্রাক্তন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা মার্ক মার্টি র্যাথবান এই আদেশ দিতেন।
‘গোইং ক্লিয়ার : সায়েন্টোলজি অ্যান্ড দ্য প্রিজন অব বিলিফ’ নামের নতুন একটি প্রামাণ্যচিত্রে এই বোমা ফাটানো তথ্যটি বেরিয়ে এসেছে। সানড্যান্স চলচ্চিত্র উৎসবে এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী হয়েছে। এটি নির্মাণ করেছেন অস্কারজয়ী নির্মাতা অ্যালেক্স গিবনি। এতে সায়েন্টোলজির প্রতিষ্ঠাতা এল রন হাবার্ডকে মনোবিজ্ঞানী ও মনোবৈজ্ঞানিক ব্যাপার-স্যাপারকে অপছন্দ ও অবিশ্বাস করতেন। গত বছর সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হওয়া নিকোলের বাবা অ্যান্থনি কিডম্যান ছিলেন অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ মনোবিজ্ঞানীদের মধ্যে অন্যতম।
১৯৯০ সালে ‘ডেজ অব থান্ডার’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করার পর টম ও নিকোল একে অপরের প্রেমে পড়েন। এরপর ঘরও বাঁধেন তারা। কিন্তু সম্পর্কের গোড়া থেকেই টমের সায়েন্টোলজি ধর্মে বিশ্বাসের দিকটি সহজভাবে নিতে পারতেন না নিকোল। তাকে এই ধর্মের অনুসারী হতে চাপ দিতেন টম। তাদের মধ্যে বিচ্ছেদ চেয়েছিলো চার্চ। তাই নিকোলের সঙ্গে সম্পর্কের ইতি টানেন টম। প্রামাণ্যচিত্রে এসবই তুলে ধরা হয়েছে,
৫২ বছর বয়সী টম ক্রুজ এখন একা। অন্যদিকে ৪৭ বছর বয়সী নিকোল সংসার করছেন গায়ক কিথ আরবানের সঙ্গে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫১০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৭, ২০১৫