তখন চুটিয়ে আড্ডা দিচ্ছিলেন নওরিন হাসান খান জেনি। ফেব্রুয়ারির প্রথম দিন।
কাজ চলছিলো ধারাবাহিক নাটক ‘নীল নাগরিক’-এর। সকাল থেকে একাই কাজ টেনে নিয়ে যাচ্ছেন জেনি। সেটে আর কোনো অভিনেতা-অভিনেত্রী নেই। একজন আসবেন বিকেলের দিকে। আরেকজন, সাঈদ বাবু, আটকে পড়েছেন ঢাকার বাইরে। দেশজুড়ে হরতাল চলছে। আসতে পারেননি তিনি। বাধ্য হয়ে তাই মাসুদ মহিউদ্দিন জেনির অংশটুকুর দৃশ্যায়ন শেষ করে নিচ্ছেন।
বিকেলের একটু আগে আসলেন নাজনীন হাসান চুমকি। তিনি এ নাটকে অভিনয় করছেন না। উত্তরাতেই থাকেন। এদিন নিজের শুটিং নেই। তাই এসেছেন বেড়াতে। সন্ধ্যা পর্যন্ত আড্ডা দিয়ে ফিরে গেলেন তিনি। একফাঁকে এসেছিলেন হিমে হাফিজও। তিনি পাশেই কাজ করছিলেন। একটু ঢুঁ দিয়ে গেলেন।
এভাবেই কাজ এগুতে লাগলো একটু একটু করে। সন্ধ্যার পরে লাল রঙের সোয়েটার গায়ে জড়িয়ে ক্যামেরার সামনে দাঁড়ালেন জেনি। দাঁড়ালেন নয়, বসলেন। তার কাজ খাটের ওপর বসে মুঠোফোনে কথা বলা। খাটের খানিকটা দূরে, এক কোণায়, ক্যামেরা বসানো হলো। মনিটরের সামনে মাসুদ মহিউদ্দিন। ফোনের ওপ্রান্তের কথাগুলো তিনিই বলে দিচ্ছেন। জেনি শট দিলেন। শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পরিচালক বলে উঠলেন- ‘এতোক্ষণ পর জেনির সংলাপ এলো!’ শব্দ করে হাসলেন জেনি- ‘আল্লা, তাই তো!’ সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যতগুলো দৃশ্য নিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন, একফোঁটা সংলাপ ছিলো না। সবই অভিব্যক্তির।
এ নাটকে জেনির সংলাপ বলার ধরণ আবার অন্যরকম। বেশিরভাগই ইংরেজি। বাংলা যা-ও বলছেন, অনেকটা ইংরেজি উচ্চারণে। বুঝিয়ে দিলেন জেনি, ‘চরিত্রটাই এমন। বিদেশ থেকে এসেছি। বাংলা ভালো বলতে পারি না। ’
‘নীল নাগরিক’-এ একজন এলিয়েনও নাকি আছেন! ভিনগ্রহের বাসিন্দা। তিনি বন্যা মির্জা। এদিন তার শুটিং নেই যদিও, কিন্তু আড্ডায় ঘুরেফিরে তার নাম এলো অনেকবারই। এলো মামুনুর রশীদের নামও। মাসুদ মহিউদ্দিন তাকে ডাকেন ‘বন্ধু মামুন’! তিনিও এ নাটকের অভিনেতা। আরও অভিনয় করছেন ইন্তেখাব দিনার, প্রিয়া আমান, এ কে আজাদ সেতু, তেরেসা চৈতী, তিনু করিম, মিশু রহমান, আহসান কবির প্রমুখ।
বাংলাদেশ সময় : ০১১৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৫
বিনোদন ও সংস্কৃতি বিষয়ক যাবতীয় যোগাযোগ এই ই-মেইলে : [email protected]