ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

বিনোদন

প্রতিষ্ঠিত শিল্পী হতে চান ভোলার তৃষা ভাওয়াল

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১২৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২, ২০১৫
প্রতিষ্ঠিত শিল্পী হতে চান ভোলার তৃষা ভাওয়াল ছবি: বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ভোলা: ভোলার সম্ভাবনাময় ও সুরেলা কণ্ঠের সংগীত শিল্পী তৃষা ভাওয়াল তৃথী। খুব ছোটবেলাতেই সংগীতে হাতে খড়ি তার।



আধুনিক ও নজরুল সংগীত পরিবেশন কর‍া তৃষা এখন ভোলায় খুব পরিচিত মুখ। পেয়েছেন ছোট বড় অনেক সাফল্য। বর্তমানে বাংলাদেশ বেতারের একজন নিয়মিত শিল্পী হিসেবে সংগীত পরিবেশন করছেন।

তৃষা ভাওয়াল চ্যানেল আই সেরাকন্ঠ প্রতিযোগীতায় চারবার অংশগ্রহণ করে চারবারই ভালো পারফর্ম করেছেন। এর মধ্যে ২০১৪ সালে গ্রান্ড রাউন্ড পর্যন্ত গিয়েছিলেন। এছাড়াও এসএ টিভিতে আইডল বাংলাদেশ প্রতিযোগীতায় বরিশাল বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ হয়ে জাতীয় পর্যায় পর্যন্ত পৌঁছান।

একই বছর বিটিভির সুবর্ণ জয়ন্তী অনুষ্ঠানে সংগীত প্রতিযোগীতায় বিভাগীয় পর্যায়ে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। রবীন্দ্রনাথ স্বাধ্যশত প্রতিযোগীতায় উত্তীর্ণ হয়ে জাতীয় পর্যায়ে সংগীত পরিবেশন করে দেশব্যাপী সুনাম অর্জন করেন তিনি।

ভোলা শহরের পৌর ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কালীবাড়ি রোড এলাকার বাসিন্দা মৃত দিলীপ ভাওয়াল ও অরুনা ভাওয়ালের মেয়ে তৃষা ভাওয়াল। দেশ বরেন্য সংগীত শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে চান তিনি।

এ শিল্পী বর্তমানে জেলা শিল্পকলা একাডেমির নিয়মিত শিল্পী, সুরের ধারার সংগীত প্রশিক্ষক ও বেতার শিল্পী পরিষদের সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে রয়েছেন। সংগীতের পাশাপাশি নিয়মিত পড়াশুনাও চালিয়ে গেছেন।

তিনি ২০০৬ সালে ভোলা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক, ২০০৮ সালে ভোলা সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক ও ২০১৫ সালে একই কলেজ থেকে সাফল্যে সঙ্গে একাউন্টটিং-এ অনার্স পাস করেন।

‘সুরের ধারায়’ তার হাত কাছ থেকে যারা হাড়ে খড়ি নিয়েছেন তাদের মধ্যে অনেকেই এখন মঞ্চে ভালো পারফর্ম করছেন। তৃষা ভাওয়াল ইতিমধ্যে রয়েল টাইগার এটিএন বাংলা নাট্যযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছেন।

সংগীত অঙ্গণের সুরেলা কণ্ঠের অধিকারী শাকিলা জাফর ও সৈয়দ আব্দুল হাদী তার প্রিয় শিল্পী। বর্তমানে তৃষা জেলা ও জেলার বাইরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশন করছেন। নিয়মিত সংগীত পরিবশেন করছেন বাংলাদেশ বেতারেও।

এ প্রসঙ্গে কথা হয় সংগীত শিল্পী তৃষা ভাওয়াল তিথীর সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার মা একজন গুনী সংগীত শিল্পী। তিনি নিজে আমাকে হাতেখড়ি দিয়েছেন। সংগীত অঙ্গনে এখন পর্যন্ত যা পেয়েছি, তা গুরুজনদের আর্শিবাদেই পেয়েছি।

তৃষা বলেন, দেশের একজন নাম করা শিল্পী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় স্বপ্ন দেখছি, সে লক্ষ্যেই আজো সংগীত চর্চায় আছি। সবার সহযোগিতা ও ভালোবাসা পেলে একদিন এ স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে বলে আমার বিশ্বাস।

বাংলাদেশ সময়: ১২৪৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০১৫

বিনোদন ও সংস্কৃতি বিষয়ক যাবতীয় যোগাযোগ এই ই-মেইলে : [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।