একদিকে এফডিসি-নির্ভর বাণিজ্যিক ছবির চর্চা, অন্যদিকে বিভিন্ন সংসদভিত্তিক চলচ্চিত্র আন্দোলন- দু’টো ধারা যেন মুখোমুখি অবস্থানে থাকে বছরজুড়ে। শুধু মুখোমুখি নয়, বলা যায় সাংঘর্ষিক অবস্থান।
কিন্তু ২২ জানুয়ারি হিন্দি ছবি ‘ওয়ান্টেড’ মুক্তির পর সুর বদল করেছে এসব চলচ্চিত্র সংগঠন। চেষ্টা চালাচ্ছে সহাবস্থানের। এখন তারা বলছে, চলচ্চিত্র শিল্প এবং শিল্পকলার আন্তরিক সহাবস্থান ছাড়া একটি দেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতি বিকশিত হতে পারে না। চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন কীভাবে স্বাধীন আদর্শিক অবস্থান বজায় রেখে শিল্পকে গ্রহণ করতে পারে, সে বিষয়ে চলছে পারস্পরিক আলাপ আলোচনা।
২৪ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি মুনীর চৌধুরী মিলনায়তনে পাঁচটি সংগঠন মিলে একটি সেমিনারেরও আয়োজন করেছিলো। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদ, ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি, জাহাঙ্গীরনগর স্টুডেন্টস ফিল্ম সোসাইটি, রণেশ দাশগুপ্ত ফিল্ম সোসাইটি ও জগন্নাথ ফিল্ম সোসাইটি এক হয়ে ওই সেমিনারে বিদেশি চলচ্চিত্র আগ্রাসন ইস্যুতে একটা সিদ্ধান্তে আসার চেষ্টা করেছিলো। মামুনুর রশীদ, নাসিরউদ্দীন ইউসুফ, মানজারে হাসিন মুরাদের পাশাপাশি সেখানে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, মতিন রহমান, মুশফিকুর রহমান গুলজার, সোহানুর রহমান সোহান, এফআই মানিকরাও ছিলেন।
তবে উল্লেখযোগ্য কোনো সমাধান ওই সেমিনার থেকে আসেনি। সম্ভবত তাই আবার একটি আলোচনাসভার আয়োজন করা হয়েছে। এবার সেই পাঁচটি সংগঠনের সঙ্গে নতুন করে যোগ দেবে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ফিল্ম সোসাইটি ও শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের চোখ ফিল্ম সোসাইটি। সঙ্গে আছে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি।
আলোচনার স্থান এবার খোদ এফডিসি। জহির রায়হান কালার ল্যাব মিলনায়তনে ৬ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৩টায় শুরু হবে এ আলোচনাসভা। এখানে অংশ নেবেন চলচ্চিত্রকার সিবি জামান, আমজাদ হোসেন, মানজারে হাসিন মুরাদ, দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, কাজী হায়াৎ, ড. সলিমুল্লাহ খান, সোহানুর রহমান সোহান, এফআই মানিক, মুশফিকুর রহমান গুলজার, জাহিদুর রহিম অঞ্জন, চলচ্চিত্রগাহক আনোয়ার হোসেন, চলচ্চিত্র গবেষক অনুপম হায়াৎ প্রমুখ। সভাপতিত্ব করবেন ফেডারেশন অব ফিল্ম সোসাইটিজ অব বাংলাদেশের সভাপতি স্থপতি লাইলুন নাহার স্বেমি।
বাংলাদেশ সময় : ১৮৩৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৫, ২০১৫