ঢাকা, শনিবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১২ অক্টোবর ২০২৪, ০৮ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

আমি নাকি নই আর একা নই

আটপৌরে জীবনেও সৃষ্টির আনন্দ

এস এম আববাস, স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৫
আটপৌরে জীবনেও সৃষ্টির আনন্দ ছবি: কাশেম হারুন/বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

ঢাকা: নিজভূমে আটপৌরে জীবনে সৃষ্টির আনন্দ খুঁজে পেতেই দেশে ফেরা বাঁধনের। রক্ত শিরায় প্রবাহিত পারিবারিক ঐতিহ্যের ধারায় নিজেকে শানাতেও চান আপন ভূবনে।



কর্মনিষ্ঠা ও আদশের্র গণ্ডিতে থেকেই আধুনিক সঙ্গীতে নতুনত্ব আবিষ্কার করার প্রত্যয়, শুধুই নিজেকে গড়ার। সঞ্চয় মায়ের অনুপ্রেরণা আর নিজের চর্চা।

বাংলা সঙ্গীতের কিংবদন্তি সাবিনা ইয়াসমিনের মেয়ে ইয়াসমিন ফায়রুজ বাঁধন এভাবেই তার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বাংলানিউজকে জানান, শিগগিরিই প্লে-ব্যাক সিঙ্গার হিসেবেও শ্রোতা-দর্শকদের কাছে নিজেকে তুলে ধরবেন তিনি।

শনিবার বিকেলে বাংলানিউজ অফিসে একান্ত আলাপচারিতায় বাঁধন বলেন, দেশের মায়া আর সঙ্গীত চর্চার মাধ্যমে আটপৌরে জীবনে সৃষ্টির আনন্দ খুঁজে পেতেই অস্ট্রেলিয়া থেকে দেশে ফিরে আসি। তবে জীবন চালাতে অর্থের যে যোগান, তা সামলাতে চাকরি করতে হয়। আর তাতেই সময়ের বারোটা বাজে।
 
তার পরেও চর্চা অব্যাহত রাখতে চাই। শুধু টিকে থাকার প্রয়োজনে নয়, সত্যিকারের বেঁচে থাকার জন্যই সঙ্গীতের চর্চা করে যাবো সারা জীবন, বলেন বাঁধন।

লেখাপড়া ও চাকরির সুবাদে অস্ট্রেলিয়ায় থাকার লোভনীয় সুযোগ ভাল লাগেনি বাঁধনের। শুধু হারমোনিয়াম বাজিয়ে গলা সাধার সামান্য সুযোগ মিললেও, শুদ্ধসঙ্গীতের চর্চার কোনো উপায় থাকেনি বি-ভূঁইয়ে। ভারতে থাকাকালে চর্চা ধরে রাখতে ব্যাঙালরে এক বাঙালি নারীর কাছে গেছি বারবার। এখন দেশে ফিরে আমার সঙ্গীতগুরু অনিল কুমার সাহার কাছে  শুদ্ধসঙ্গীতের চর্চা চালিয়ে যাচ্ছি, যার কাছে আমার প্রথম শুদ্ধসঙ্গীতের হাতেখড়ি। এখন নিজ সংস্কৃতির আবহে সৃষ্টির আনন্দ অন্বেষণ করছি। বেশ ভাল লাগছে।

নিজের ভবিষ্যৎ কাজের বিষয়ে বাঁধন বলেন, প্লে-ব্যাক গাইয়ে হিসেবে মায়ের অনুপ্রেরণা আর ভাললাগা নিয়েই কাজ করতে চাই। প্লে-ব্যাকে পারফরম করার চূড়ান্ত প্রস্তুতিও নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন জনের সঙ্গে কথা হয়েছে প্লে-ব্যাক করার। তবে শুদ্ধসঙ্গীত চর্চা অব্যাহত থাকবে, পাশাপাশি আধুনিক গানেও নিজেকে নিবেদিত রাখবো সব সময়। সেটিই হবে কাজের মূল জায়গা।

দেশে ফোরর পর কয়েক বছরে তার সঙ্গীত নিয়ে কাজের পরিসর জানতে চাইলে বাঁধন জানান, চতুর্থ অ্যালবামের কাজ চলছে। ইতোমধ্যে পাঁচটি গান রেকর্ডিংও হয়েছে। মায়ের সঙ্গে ডুয়েট রয়েছে দু’টি। মোট নয়টি গান নিয়ে বাজারে যাবে চতুর্থ অ্যালবামটি। তবে কিছু সময় লাগবে কাজ শেষ করতে।

চতুর্থ অ্যালবামে যে গান থাকবে তা নিয়েও বিস্তারিত কথা হয় বাঁধনের সঙ্গে। রেকর্ডিং করা এই অ্যালবামের একক গান ‘দখিণ হাওয়া কানে কানে বলে গেলো এই, আজ থেকে আমি নাকি নই আর একা নই’। সুরেই গানের লাইনটিও শোনান বাঁধন। বলেন, অ্যালবাম আসার আগেই রেকর্ড করা এই গানটি জনপ্রিয়তাও পেয়েছে।   ইউটিউবে গানটি পাওয়া যাবে।

বাঁধনের দেশে ফিরে আসার পর সঙ্গীতের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে সময় গেছে ঢের। তবে শুরুতেই ২০০৬ সালে ‘প্রতিচ্ছবি’ আলবামেই জনপ্রিয়তা পান তিনি। ওই অ্যালবামে সাবিনা ইয়াসমিনের সঙ্গে ডুয়েট গান ছিল শ্রোতাদের মন কাড়ার মতো।

২০০৯ সালে ফাল্গুনী হাওয়া অ্যালবামেও সাড়া পেয়েছেন বাঁধন। আর ২০১১ সালের রাগ অনুরাগ অ্যালবাম দিয়ে শেষ হয়েছে তৃতীয় অ্যালবামের কাজ।

শিগগিরই চতুর্থ অ্যালবাম বাজারে আসছে, আর তাতে সাড়াও পাওয়া যাবে, আশাবাদের এ সুখবর দৃঢ়তার সঙ্গেই দেন বাঁধন।

বাংলাদেশ সময়:  ১৪৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।