দুই বাংলার একডজন দর্শকনন্দিত নাটক নিয়ে নাট্যমলোর আয়োজন করেছে প্রাঙ্গণেমোর। ‘দুই বাংলার নাট্যমেলায় রবীন্দ্রনাট্য ও অন্যান্য ২০১৫’ শিরোনামের এই আয়োজন শুরু হবে আগামী ৬ মার্চ।
এর আগে আরও তিনবার দুই বাংলার নাট্যমেলার আয়োজন করেছিলো প্রাঙ্গণে মোর। চতুর্থবারের মতো আয়োজিত এবারের নাট্যমেলায় থাকছে ভারতের চারটি ও বাংলাদেশের আটটি নাটকের প্রদর্শনী। এগুলো হবে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মূল মঞ্চ ও এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে।
ভারতের নাটকগুলো হলো- পূর্ব-পশ্চিমের ‘রক্তকরবী’, কল্যাণী নাট্যচর্চার ‘তৃতীয় আরেকজন’ ও ‘মেয়েটি’ এবং নয়া নাটুয়ার ‘হাওয়াই’। বাংলাদেশের নাটকের মধ্যে নাট্যমেলায় এবার থাকছে- সময়ের ‘ভাগের মানুষ’, প্রাঙ্গণেমোরের ‘শেষের কবিতা’ ও ‘শ্যামাপ্রেম’, সুবচন নাট্য সংসদের ‘মহাজনের নাও’, থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘না-মানুষি জমিন’, শব্দ নাট্যচর্চা কেন্দ্রের ‘তৃতীয় একজন’, নাট্যতীর্থের ‘কঙ্কাল’ এবং মহাকাল নাট্য সম্প্রদায়ের ‘নিশিমন বিসর্জন’।
প্রাঙ্গণেমোরের দলপ্রধান অনন্ত হিরা বলেন, ‘বাংলাদেশে দলীয় পর্যায়ে রবীন্দ্রনাথের নাটকের নিয়মিত চর্চা করছি আমরা। মঞ্চে এনেছি চারটি রবীন্দ্র নাটক- ‘শ্যামাপ্রেম’, ‘স্বদেশি’, ‘রক্তকরবী’ ও ‘শেষের কবিতা’। আমরা বিশ্বাস করি বাঙালির শুদ্ধ নাট্যচর্চার প্রধান অবলম্বন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের নাটকের চর্চাকে বেগবান করতে এ জাতীয় নাট্যোৎসব আয়োজন একটি উল্লখেযোগ্য ভূমিকা পালন করে। এ ছাড়া এ ধরনের নাট্যোৎসব দুই বাংলার নাট্যকর্মী এবং ঢাকা ও ঢাকার বাইরের নাট্যকর্মী ও দর্শকদের মধ্যে বন্ধুত্বের সেতু নির্মাণ করবে। ’
রবীন্দ্র নাট্যচর্চার সাফল্যের ধারাবাহিকতায় ২০০৯ সালের ১ থেকে ৮ মে বাংলাদেশ ও ভারতের আটটি উল্লখেযোগ্য রবীন্দ্রনাট্য প্রযোজনা নিয়ে প্রথমবারের মতো দুই বাংলার রবীন্দ্র নাট্যমেলার আয়োজন করে দলটি। এরপর ২০১০ সালে চট্টগ্রামে ১ থেকে ৪ এপ্রিল এবং ২০১১ সালে ১২ থেকে ১৮ ফব্রেুয়ারি ঢাকায় নাট্যমেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ সময় : ১৪২২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০১৫