শিশু সাহিত্যিক ও মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ফরিদুর রেজা সাগর ১৯৫৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি জন্মগ্রহণ করেন। এবছর তার প্রাপ্তির ঝুড়িতে যুক্ত হলো দেশের সবচেয়ে বড় রাষ্ট্রীয় সম্মাননা ‘একুশে পদক’।
শিশু সাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি পেয়েছেন বাংলা একাডেমী পুরস্কার, অগ্রণী ব্যাংক সাহিত্য পুরস্কার, রোমেনা আফাজ স্মৃতি স্বর্ণ পদক, টেনাশিনাস পদক ও ইউরো শিশু সাহিত্য পুরস্কার। চলচ্চিত্র প্রযোজনার জন্য পেয়েছেন দেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বিদেশে নানা সম্মাননা ও পুরস্কার। শ্রেষ্ঠ টেলিভিশন অনুষ্ঠান প্রযোজনা, নির্মাণ ও পরিচালনার জন্য বাচসাসসহ বিভিন্ন সংগঠন তাকে পুরস্কারে ভূষিত করেছে।
বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকেই তিনি বিভিন্ন অনুষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। টিভি অনুষ্ঠান উপস্থাপনার পাশাপাশি তার লেখা বেশ কয়েকটি নাটকও টেলিভিশনে প্রচারিত হয়েছে। বর্তমানে তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্ম, চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বের পাশাপাশি নিজেকে লেখালেখিতে সম্পৃক্ত রেখেছেন। প্রায় শতাধিক গ্রন্থের লেখক ফরিদুর রেজা সাগরের লেখা 'ছোট কাকু সিরিজ' ছোট বড় সকলের কাছে সমান জনপ্রিয় পেয়েছেন। বড়দের জন্যও লিখেছেন নানা ধরণের বই।
তার লেখা ‘এক জীবনে টেলিভিশন’ বইটি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে পাঠ্যসূচীতে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে এবং গল্প ‘অমি ও আইসক্রিম’অলা ৬ষ্ঠ শ্রেণীর পাঠ্য পুস্তকে অন্তর্ভূক্ত রয়েছে। এ লেখকের লেখা কিশোর সমগ্র গ্রন্থ বেরিয়েছে সাতটি। অন্যান্য গ্রন্থগুলোর মধ্যে রয়েছে-মানুষের মুখ-৪, কিশোর সমগ্র-১১, মমির লাঠি রহস্য, কুয়াকাটায় কারসাজি, ছোটনায়ক, সাতটি সাত রকম, রাতুল মামা ফিল্ম স্টার, আমরা সবাই রাজা, একাত্তরে ওরা, হিজলতলীর মাঠে সসার এসেছিলো, বটগাছের মধুরহস্য ও ১২টি গল্প, একটি পোষা ভূতের গল্প, ছোটদের জন্য কিছু লেখা ইত্যাদি বই।
ফরিদুর রেজা সাগরের পিতা এদেশের চলচ্চিত্র নির্মাণ ও সাংবাদিকতার পথিকৃৎ ফজলুল হক। মা রাবেয়া খাতুন দেশের প্রথিতযশা কথাসাহিত্যিক। ফরিদুর রেজা সাগর বাংলা একাডেমীর একজন ফেলো, মুক্তিযুদ্ধ যাদুঘরের স্থাপনা সদস্য ও ছায়ানটের কার্যকরী সদস্য।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৩২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২১, ২০১৫