গাড়ি চাপা দিয়ে পালানোর মামলায় সালমান খানের বিরুদ্ধে ড্রাইভিং লাইসেন্স বিষয়ক অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে আদালত। আজ মঙ্গলবার শুনানিতে এ রায় দেয় মুম্বাইয়ের সেশনস কোর্ট।
বিচারক ডি ডব্লিউ দেশপান্ডে বলেন, ‘আইন অনুযায়ী কারও ওপর ড্রাইভিং লাইসেন্স দেখানোর জন্য চাপ প্রয়োগ করা যায় না। তবে পরিস্থিতি দেখে তা চাওয়া যেতে পারে। কিন্তু এই মামলায় সে প্রয়োজনীয়তা সময় পেরিয়ে গেছে।
বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর প্রদীপ ঘারাট আদালতে উল্লেখ করেন, ২০০২ সালে গাড়ি চালালেও আঞ্চলিক পরিবহন কার্যালয়ের নথি অনুযায়ী সালমান লাইসেন্স পেয়েছিলেন ২০০৪ সালে। তবে অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন বলিউডের এই অভিনেতা। এ ছাড়া দুর্ঘটনার সময় চালকের আসনে তিনি ছিলেন না বলে জানিয়ে আসছেন। তার পক্ষে মামলা লড়েছেন আইনজীবী শ্রীকান্ত শিবাড়ে।
২০০২ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মুম্বাইয়ের বান্দ্রায় এক বেকারিতে ধাক্কা খায় সালমানের চালানো গাড়ি। এ সময় বেকারির বাইরে ঘুমিয়ে থাকা এক পথচারী ঘটনাস্থলে মারা যায়। আহত হয় আরও চারজন।
এদিকে যোধপুরে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগে আরেকটি মামলার গ্যাড়াকলে ফেঁসে আছেন সালমান। এই মামলার সঙ্গে যুক্ত অস্ত্র আইন মামলার রায় দেওয়া হবে শিগগিরই। ১৯৯৮ সালের ১৫ অক্টোবর যোধপুরের বন বিভাগ তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দুটি কৃষ্ণসার হরিণ শিকার করার অভিযোগে মামলা দায়ের করে। এমনও অভিযোগ ছিলো, শিকারে ব্যবহৃত বন্দুকটির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। নিম্ন আদালতে সালমানের পাঁচ বছরের কারাদণ্ড হলে হাইকোর্ট সেটির ওপর স্থগিতাদেশ দেয়। পরে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানানো হলে মামলাটিকে দ্বিতীয়বার শুনানির জন্য নিম্ন আদালতে ফেরত পাঠায় সর্বোচ্চ আদালত।
বাংলাদেশ সময় : ১৭৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ৩, ২০১৫