ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

শিল্পকলায় শনিবার ‘বাঁদী-বান্দার রূপকথা’

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৬ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৫
শিল্পকলায় শনিবার ‘বাঁদী-বান্দার রূপকথা’ ছবি : সংগৃহীত

ঢাকা: ইন্দিরা  গান্ধী  সাংস্কৃতিক  কেন্দ্রের  পঞ্চম  প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী  উপলক্ষে শনিবার (১৪ মার্চ) শিল্পকলা একাডেমিতে নৃত্যনাট্যের আয়োজন করা হয়েছে।

এদিন সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয়  নাট্যশালা মঞ্চে ‘বাঁদী-বান্দার রূপকথা’ শীর্ষক নৃত্যনাট্যটি পরিবেশন করবে সৃষ্টি কালচারাল  সেন্টার।



মঙ্গলবার (১০ মার্চ) ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টারের পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি জানানো হয়।

১৯৯৪ সালে ভরতনাট্যম প্রশিক্ষণের মধ্য দিয়ে ‘সৃষ্টি’র যাত্রা শুরু হয়। শাস্ত্রীয় নৃত্য দিয়ে শুরু হলেও নৃত্যের অন্যান্য আঙ্গিকেও কাজ করছে সংগঠনটি।

আরব্য রজনীর কাহিনীতে আছে-কাঠুরিয়া আলী বাবা আর চল্লিশ চোরের গল্প। সে গল্পে ছিল এক কাফ্রি বান্দা আবদুল্লা আর এক অপরূপা সুন্দরী বাঁদী মর্জিনা।

বাঁদী-বান্দার রূপকথায় মর্জিনাই নায়িকা। তারই জয়গাথা কাহিনীর উপজীব্য। কিন্তু আবদুল্লার দীর্ঘশ্বাসও তো কম সত্যি নয়!

তাই আলীবাবা ও চল্লিশ চোরের গল্প নতুন বিন্যাসে, নতুন আলোক সম্পাতে, নতুন ভঙ্গিতে পরিবেশন করা হয়েছে বাঁদী-বান্দার রূপকথায়।

আবদুল্লা এক ব্যর্থ প্রেমিক। বিরহী আবদুল্লার আত্মকথার রেশ ধরে দর্শক পৌঁছে যান বাগদাদের জনাকীর্ণ বাজারে। যেখানে চলছে দাস-দাসী কেনাবেচা।

তারপর একে একে কাহিনীর আবরণ উন্মোচিত হতে থাকে... কীভাবে স্বার্থপর কাশেম তার ভাই আলীকে বানিয়ে দিল পথের ভিখারী। বনের কাঠ কেটে বাজারে বিক্রি করে যার সংসার চলে।

তার পরের গল্প সবার জানা... খুল্ যা সিম সিম... ডাকাতের গোপন গুহার ধনদৌলত আর লোভী কাশেমের মৃত্যু... মুস্তাফার কেরামতি আর মর্জিনার বাজিমাৎ। গল্পের পরিণতিতে দাসত্বহীন ভালবাসার মিলন।

নৃত্যনাট্যটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

২০১০ সালের ১১ মার্চ ঢাকায় যাত্রা করে ইন্দিরা গান্ধী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র। এরই মধ্যে এই কেন্দ্রটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংগীত, শিল্পকলা, নৃত্য, নাটক প্রভৃতি ক্ষেত্রে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি বিনিময় করে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭০১ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।