ছেলেদের মতো মেয়েরাও মানিসক হাতাশায় ভোগে। একসময় বলিউড অভিনেত্রী দীপিকা পাড়ুকোনও সেই হতাশার সময় পার করেছেন।
দীপিকা জানান, আমার লোভ, আমার চাওয়াগুলো অন্য মেয়ে থেকে একটু ভিন্ন বলে মনে করি। এখানে হতাশাটা আমার বাড়ে। কারণ কোনো কিছুর সঙ্গে আমার মনসতাত্বিক চাওয়াগুলো মিলে না। এজন্য একটা হতাশা তৈরী হয়। এজন্য হতাশার সঙ্গে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করতে হয় আমাকে।
অনুষ্ঠানে দীপিকার মা উজালা পাড়ুকোন বলেন, ‘দীপিকা এমনিতে অন্য মেয়ে থেকে আলাদা। শান্ত স্বভাবের। অনেক মানুষ আমাকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জানতে চাই দীপিকার। তবে আমি বিশ্বাস করি না দীপিকা বড় কোনো মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছে। তবে ও মাঝে মাঝে অনেককিছু নিয়ে মানিসক হতাশায় ভোগে এবং নিজে নিজে তার মোকাবেলা করে। এবং আমি একসময় তাকে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলি। ’
দীপিকা আরো জানান, মানিসক হতাশায় ভুগলেও আমি মনে করি আমি তো একা না। তারপরও কেনো আমার সঙ্গে এমন হচ্ছে। সেটাকে আমি রোগ বলেই ধরে নেয় এবং এটা সমাধানের চেষ্টা করি। শেষমেষ আমার সেটা কাজে লেগেছে। অার এজন্য আমি সম্প্রতি একটি মানসিক ফাউন্ডেশনও করেছি।
দীপিকাকে এনডিটিভির বারকা দত্ত প্রশ্ন করেন, ভারতে ১ লাখ মানুষ এবং সারা বিশ্বে ৩৬ ভাগ মানুষ এই হতাশার জন্য নিজেকে শেষ করছে। আত্মহত্যার হার বাড়ছে। ছোটপর্দায কোনো এই বিষয় নিয়ে তুমি কথা বলতে চেয়েছো-জানতে চাই ?
দীপিকা এর উত্তরে বলেন, ‘এর কারণ তুমি দুই মিনিট আগে বলেছো। কোনো এটা এতো গুরুত্বপূর্ন। আমার মনে হয় প্রতি তিনজনে দুইজন, অনেক সময় প্রতি দুইজনের মধ্যে একজন কোনো না কোনো বিষয় নিয়ে হতাশাগ্রস্থ। আমি আমার কাছের এক বন্ধুকে কয়েকমাস আগে হারিয়েছি। আমি এর ব্যাথা বা জ্বালাটা অনুভব করি। অনেক সময় অনেকে বলে, তোমার ডাক্তারের নিকট যাবার দরকার নেই। কিন্তু আমি মনে করি এটা ভুল। কারণ আমার মা আমাকে প্রথমে কিছুদিন আগে এমন দেখে নানা সুপরামর্শ দিয়েছেন। ডাক্তার দেখিয়েছেন, সাহস যুগিয়েছেন। ’
ডাক্তার শায়াম ভাট বলেন, আমার মনে হয় ধারনা খুবই পরিষ্কার। ছোট করে বলতে হলে, যদি তোমার মনে বা চিন্তায় কোনোকিছু স্বাভাবিক না থাকে তাহলে ভেবে নিতে হবে তুমি ঠিক নেই। তখন ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা উচিত। তাই আমাদের মস্তিষ্ককে নিয়ন্ত্রণ করার মতো সাহস ও ধৈর্য্্য অনেকসময় রাখতে হবে। কারণ আমি মনে করি, মানুষের মনোবল অনেক জোরালো।
বাংলাদেশ সময়: ২০৪৭ ঘণ্টা, মার্চ ২১, ২০১৫