ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

শিল্পার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫০৭ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৫
শিল্পার বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ শিল্পা শেঠি

আর্থিক প্রতারণার অভিযোগ উঠলো শিল্পা শেঠির বিরুদ্ধে। এ প্রতারণায় জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে তার স্বামী রাজ কুন্দ্রর বিরুদ্ধেও।

মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে ৯ কোটি রুপি হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগে গত ২১ মার্চ শেক্সপিয়ার সরণি থানায় তাদের বিরুদ্ধে ১২০বি, ৪০৬, ৪১৮, ৪২০, ৩৮৮, ৩৮৯, ৫০৬ ধারায় এফআইআর দায়ের করেছে কলকাতার একটি বেসরকারি সংস্থা। ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশে শিল্পা-রাজ দম্পতির বিরুদ্ধে তদন্তও শুরু হয়েছে।

 

পুলিশ জানিয়েছে, সংস্থার পক্ষে মনোজ জৈন ও অতিরিক্ত পরিচালক দেবাশীষ গুহ অভিযোগ করেছেন, ২০১০-১১ সালে শিল্পার সংস্হা এসেন্সিয়াল স্পোর্টস অ্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেডে ৯ কোটি রুপি বিনিয়োগ করে তারা প্রতারিত হয়েছেন। দুই বছরের মধ্যে তাদেরকে দশ গুণ টাকা ফেরত দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়ে রাখেননি তিনি।  

 

শিল্পা নাকি বলেছিলেন, ৯ কোটি রুপি এককালীন জমা দিলে দুই বছরে ১০ গুণ অর্থাৎ ৯০ কোটি রুপি ফেরত পাওয়া যাবে৷ এজন্য উভয় পক্ষের মধ্যে চুক্তিও হয়েছিলো৷ ৯ কোটি রুপি বিনিয়োগ করার পর এমকে মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডকে ৩০ লাখের ইকুইটি শেয়ার দেয় এসেন্সিয়াল স্পোর্টস অ্যান্ড প্রাইভেট লিমিটেড৷ কিন্তু পরে জানা যায়, ওই শেয়ারগুলোর কোনো অস্তিত্ব নেই৷ কেনাবেচা করা যাবে না৷ শেয়ার হোল্ডিংয়েও রাখা যাবে না৷ 

 

চলতি বছরের শুরুতে শেক্সপিয়র সরণি থানায় এ নিয়ে অভিযোগ করলেও সেটিকে গুরুত্ব দেয়নি পুলিশ। এরপর গোটা বিষয়টি জানিয়ে এমকে মিডিয়া ব্যাঙ্কশাল আদালতের দ্বারস্থ হয়ে মামলা করে। ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশে অভিযোগের তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।  

২০১০ সালে পরিচিত এক ব্যক্তির মাধ্যমে শিল্পা ও রাজের সঙ্গে যোগাযোগ হয় দেবাশীষের। রাজের সংস্থায় বিনিয়োগ করার জন্য তাকে অনুরোধ করেন শিল্পা। এমন আশ্বাসও দেওয়া হয়, বিনিয়োগ করলে দেবাশীষের সংস্থার পরিচালকদেরকে তাদের সংস্থার শেয়ারহোল্ডার করা হবে। প্রথমে রাজি না হলেও ২০১১ সালের নভেম্বর থেকে ২০১২ সালের এপ্রিলের মধ্যে চেক এবং আরটিজেএসের মাধ্যমে তাদের সংস্থায় মোট ৯ কোটি টাকা বিনিয়োগ করে এমকে মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড।  

 

অভিযোগ রয়েছে, গত বছরের নভেম্বরে ‘রেজিস্টার অব কোম্পানি’র সঙ্গে যোগাযোগ করে এমকে মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেড জানতে পারে, তাদেরকে না জানিয়ে রাজের সংস্থার ব্যালেন্স শিট জমা দেওয়া হয়েছে। এরপর শিল্পা ও রাজের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা মানহানির মামলা করার হুমকি দেন।  

 

পুলিশ জানিয়েছে, এ অভিযোগের ভিত্তিতে শিল্পা আর তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার আগে এমকে মিডিয়া প্রাইভেট লিমিটেডের কর্তাব্যক্তিদের বয়ান নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে।  

 

এদিকে আজ সোমবার টুইটারে শিল্পা বিস্মিত হয়ে বলেছেন, ‘যাচ্ছেতাই খবর এটা! সাহস থাকলে আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলোর প্রমাণ দেওয়া হোক। মনোজ জৈন নামের লোকটা দুই মিনিটের আলোচনা দিয়ে আমার অনেক কষ্টে পাওয়া সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পারবে না। আমি আইনি পরামর্শ চাই। এ লোকটা পুরোপুরি প্রতারক। ’

 

বাংলাদেশ সময় : ১৫০৩ ঘণ্টা, মার্চ ২৩, ২০১৫

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।