ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

নেপাল থেকে বাংলানিউজকে কল্যাণ কোরাইয়া

মুহূর্তেই পাহাড় কাঁপতে শুরু করলো

কামরুজ্জামান মিলু, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৬, ২০১৫
মুহূর্তেই পাহাড় কাঁপতে শুরু করলো কল্যাণ কোরাইয়া

অভিনয়শিল্পী শাহরিয়ার নাজিম জয়, কল্যাণ কোরাইয়া, রুনা খান, শাহাদত হোসেন, রাখি, নোমিরা, নির্মাতা যুবরাজ খান-সহ একটি শুটিং ইউনিট ২০ এপ্রিল থেকে নেপালে একটি নাটকের কাজ করছিলেন। গত ২৫ এপ্রিল ভূমিকম্পে নেপালে সর্বকালের সবচেয়ে বড় ভূমিকম্প হয়েছে।

দেশটির নাগরকোট থেকে অভিনেতা কল্যাণ কোরাইয়া ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমাদের জন্য দোয়া করবেন। আমরা সবাই অনেক বড় বিপদে আছি। ’ এরপর বাংলানিউজ যোগাযোগ করলে তিনি কথা বলেছেন।

বাংলানিউজ : ভূমিকম্প যখন শুরু হলো তখন কোথায় ছিলেন?
কল্যাণ : তখন আমাদের পাহাড়ে শুটিং চলছিলো। জয় ভাই (শাহরিয়ার নাজিম জয়) ও যুবরাজ খানের যৌথ পরিচালনায় ‘হলিডে’ নাটকের কাজ করতে আমরা নেপালে এসেছি। মুহূর্তেই পাহাড় কাঁপতে শুরু করলো। তখন আমাদের সবার যে কি নাজুক অবস্থা হলো বলে বোঝাতে পারবো না! নাগরকোট ক্লাব হিমালয় রিসোর্টের সামনে শুটিং চলাকালীন নিজের চোখে দেখতে পেলাম রেস্টুরেন্ট, রাস্তা ও হোটেল ধসে যাচ্ছে।

বাংলানিউজ : আপনাদের কি দূতাবাসে নেওয়া হয়েছিল, নাকি নিজেরা গেছেন?
কল্যাণ : নেপালের দূতাবাসের গাড়ি এসে আমাদের দূতাবাসে নিয়ে যায়। আমাদের সবার ব্যাগ হোটেলে ছিল। শুধু পাসপোর্ট আছে সঙ্গে। গতকাল (২৫ এপ্রিল) সারারাত দূতাবাসের কম্পাউন্ডে কাটিয়েছি। রুনা খান-সহ অনেকে টুকটাক আহত হয়েছেন। তবে আমরা নিরাপদে আছি।

বাংলানিউজ : দূতাবাসের কমপাউন্ডে থাকতে অসুবিধা হচ্ছে নিশ্চয়ই?
কল্যাণ : তা তো হচ্ছেই। প্রতিটি মুহূর্ত অনিশ্চয়তায় কাটছে। প্রচন্ড শীতে খোলা আকাশের নিচে রাত কাটিয়েছি। গত ৮০ বছরে নেপালে সবচেয়ে ভয়াবহ দুরবস্থা তৈরি হয়েছে। তারা এটাকে জীবনের ভয়াবহতম সময় মনে করছে।

বাংলানিউজ : যে হোটেলে উঠেছেন সেখানে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে? আপনাদের মালপত্র কোথায়?
কল্যাণ : যে হোটেলে ছিলাম, সেখানেও ফাটল ধরেছে। এমনকি কাঠমান্ডুর র‌্যাডিসন হোটেলেও ফাটল ধরেছে। সরকারিভাবে নেপালে সবাইকে ঘরবাড়ি ছেড়ে খোলা জায়গায় থাকার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সরকার একটি বিশেষ বিমানের ব্যবস্থা করেছেন। আমরা আজ বিকেল ৪টা ১০ মিনিটের ফ্লাইটে ঢাকায় ফিরবো। বিমানবন্দরে যাওয়ার আগে হোটেল থেকে ব্যাগ নেবো।  

বাংলানিউজ : তিনটি নাটকের কাজই কি শেষ হয়েছে?
কল্যাণ : না। দুটি নাটকের কাজ শেষ করতে পেরেছি আমরা। অন্যটির নাম ‘হেনা’। এর কিছু কাজ বাকি আছে। দেশে ফিরেই এই কাজ করতে হবে।

বাংলাদেশ সময় : ১৩৪৫ ঘণ্টা, ২৬ এপ্রিল, ২০১৫
এমকে/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।