ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

বিরতিহীন নাটক নিয়ে শিল্পী ও সুধীজনের অনুভূতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৬ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫
বিরতিহীন নাটক নিয়ে শিল্পী ও সুধীজনের অনুভূতি (বাঁ থেকে) তারিক আনাম খান, সুবর্ণা মুস্তাফা, সজল ও পিয়া

অতিরিক্ত বিজ্ঞাপন বিরতি নিয়ে দর্শকদের অভিযোগ অনেকদিনের। বিষয়টি নিয়ে অভিনেতা-অভিনেত্রী, প্রযোজক, পরিচালকরাও অভিমত জানিয়ে আসছেন।

গত ঈদে এ অসন্তুষ্টির মাত্রা ছিলো প্রবল। বিষয়টি মাথায় রেখে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ নিয়ে এগিয়ে এসেছে জিটিভি কর্তৃপক্ষ।

সপ্তাহব্যাপী ঈদ আয়োজনে কোনো ধরনের বিজ্ঞাপন বিরতি ছাড়াই অনুষ্ঠান প্রচার করবে বেসরকারি টিভি চ্যানেলটি। এর পর্দায় প্রতিদিন বিকেল সাড়ে ৪টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত যতো অনুষ্ঠান প্রচার হবে, সবই দেখা যাবে বিরতিহীন। তাদের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়েছেন দর্শক থেকে শুরু করে নির্মাতা, শিল্পী সবাই। এখানে রইলো কয়েকজনের মতামত।

হাসানুল হক ইনু, তথ্যমন্ত্রী
টেলিভিশনে সংবাদ প্রচার অথবা বিভিন্ন রকম অনুষ্ঠান প্রচারের সময় বিজ্ঞাপন দেখানো হয়। তবে সাম্প্রতিক কালে এ বিজ্ঞাপন কতোটুকু দেখানো হবে, সে বিষয়ে একটা বিতর্ক উঠেছে। সেটার নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। কারণ পৃথিবীর সব জায়গায় বিজ্ঞাপন এক ঘণ্টায় কতো শতাংশ দেখানো হবে, বা কয় মিনিট দেখানো হবে তার একটা বিধান আছে। বাংলাদেশে আপাতত এ ব্যাপারে কোনো সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা নেই। ফলে বিজ্ঞাপনের ভারে অনুষ্ঠান নুয়ে পড়ছে। বিরক্ত হচ্ছেন দর্শকরা। এ অবস্থায় এবারের ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে জিটিভি যে নাটক দেখাবে, তাতে বিজ্ঞাপন বিরতি থাকবে না। নিরবিচ্ছিন্নভাবে নাটক প্রদর্শন করার এই উদ্যোগ গুরুত্বপূর্ণ ও যুগান্তকারী পদক্ষেপ। আশা করি, দর্শকরা এটাকে স্বাগত জানাবে।

আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য
এ ধরনের প্রচারণা শুধু নয়, যদি এ ধরনের অনুষ্ঠান চালু করা যায়, এটা কিন্তু একটা দৃষ্টান্ত হবে। বিজ্ঞাপন হয়তো থাকবে কিছু। কিন্তু সেটা ওই নাটক প্রচারের মাঝখানে বেশি আসবে না। নাটক প্রচারের শুরুতে হয়তো আসতে পারে। নাটক শেষ হয়ে গেলে তারপর আবার বিজ্ঞাপন দেখানো যায়। মাঝখানে বিরতিহীনভাবে যদি নাটকটা দেখার সুযোগ পায় দর্শক, আমার তো মনে হয় তারা অনেক বেশি আকৃষ্ট হবে। এটা একটা সুন্দর নিরীক্ষা হবে।

তারিক আনাম খান
এবার ঈদুল আজহায় জিটিভিতে অনুষ্ঠান প্রচার হবে বিরতিহীনভাবে। দারুণ ব্যাপার না? অবশ্যই থাকবেন জিটিভির সঙ্গে। এখানেই নাটক দেখবেন।

সুবর্ণা মুস্তাফা
বিপন্নতে এটি একটি গল্প হয়ে উঠতে পারতো- একটি নাটকের নাম। বিরতিহীন একটি নাটকের নাম। এতে প্রথমবারের মতো আমি ও শ্যামল মাওলা একসঙ্গে কাজ করেছি। আশা করছি, দর্শকরা এই বিরতিহীন নাটকটি দেখবেন। আমার মনে হয়, দর্শকদের ভালো লাগবে।

জান্নাতুল ফেরদৌস পিয়া
যখন একটা গল্প চলে, মনোযোগ ওখানে চলে যায়। এর পরে কি রয়েছে, তা জানার আগ্রহ থাকে। যদি সারাক্ষণ বিরতি চলে, দর্শক আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। আমি একজন দর্শক হিসেবে বলছি, আমার তো মনে হয় এবার ঈদের দর্শক শুধু জিটিভিতে আটকে থাকবে! কারণ প্রতিটি অনুষ্ঠান বিরতিহীন যাবে। প্রত্যেকে অনেক বেশি পছন্দ করবে এই আয়োজন।

সজল
বিজ্ঞাপনের জন্য ইদানীং নাটক দেখার কোনো জো নেই। আসলেই দেখা যাচ্ছে না। বিরতিহীন নাটক প্রচারের উদ্যোগ নেওয়ার জন্য জিটিভিকে ধন্যবাদ এবং সাধুবাদ জানাই। তারা যেন এ ধরনের কাজে আরও বেশি এগিয়ে আসে। দর্শক অন্তত এক বসায় নাটক দেখতে পারে। একটি এক ঘণ্টার নাটক ৪০-৪৫ মিনিট। এর মধ্যে যদি অনেক বেশি বিজ্ঞাপন বিরতি থাকে, তাহলে দর্শক আরেকটা চ্যানেলে চলে যায়। কী দরকার শুধু শুধু তাদেরকে আরেকদিকে ফিরিয়ে দেওয়ার!

বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ২৪, ২০১৫
কেবিএন/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।