ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

শবনম ফারিয়ার সঙ্গে কিছুক্ষণ

এই স্ক্রিনশটকে ঘিরে যা হচ্ছে তা বিব্রতকর

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ৫, ২০১৫
এই স্ক্রিনশটকে ঘিরে যা হচ্ছে তা বিব্রতকর শবনম ফারিয়া / ছবি : নূর / বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম

এগোচ্ছেন শবনম ফারিয়া। এবারের ঈদুল আজহায় বেশ কয়েকটি নাটক-টেলিছবিতে তার অভিনয় প্রশংসিত হয়েছে।

বলা যায়, সাম্প্রতিক সময়ে ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেত্রী তিনিই। তাকে নিয়ে যেমন তুমুল আলোচনা হচ্ছে, তেমনি বিতর্কেও জড়িয়ে পড়েছেন। অবশ্য বিতর্কটা নিয়ে চলছে মিশ্র প্রতিক্রিয়া। আগামীকাল (৬ অক্টোবর) থেকে প্রচার শুরু হবে তার নতুন ধারাবাহিক নাটক ‘হাউজ ফর্টি ফোর’। এসব নানা প্রসঙ্গে শবনম ফারিয়া মুখোমুখি হয়েছেন বাংলানিউজের।

বাংলানিউজ : এবারের ঈদে নিশ্চয়ই ভালো সাড়া পেলেন।
শবনম ফারিয়া : হ্যাঁ। মাহফুজ আহমেদের ‘বাতাসের মানুষ’, শরাফ আহমেদ জীবনের ‘পুরান ঢাকার ফুল ভাই’, কাজল আরেফিন অমির ‘মায়া’ নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পেয়েছি। মজার ব্যাপার হলো হুমায়ূন আহমেদের ‘ভালোবাসার গল্প’ পুনঃপ্রচারের সময় বেশি সাড়া পেলাম।

বাংলানিউজ :  ‘হাউজ ফর্টি ফোর’-এ আপনার চরিত্রটি কেমন?
শবনম ফারিয়া : একটা পরিবারকে ঘিরে গল্পটা এগোয়। তাদের বাড়ির নম্বর হাউজ ফর্টি ফোর। আমার চরিত্রটি বাড়ির মেজ মেয়ের। সে কম কথা বলে, একটু চুপচাপ। মেয়েটি মেডিক্যালে পড়ে। কিন্তু রক্ত দেখলেই ভয় পায়! মজার বিষয় হলো, গল্পে মেয়েটির কক্সবাজার যাওয়ার কথা ছিলো। আমি পরিবারের মানা থাকায় নাটকের কাজে আমি ঢাকার বাইরে যাই না। তাই গল্পের এ জায়গাটা পাল্টাতে হয়েছে।

বাংলানিউজ : এখন আপনার একাধিক ধারাবাহিক যাচ্ছে। সব কি দেখা হয়?
শবনম ফারিয়া : না। শুটিং থাকে তো! দেখবো কীভাবে? আরটিভিতে ‘ঝালমুড়ি’, দেশ টিভিতে ‘কলিংবেল’, এনটিভিতে ‘একদিন ছুটি হবে’ প্রচার হচ্ছে। নতুন যোগ হচ্ছে ‘হাউজ ফর্টি ফোর’। তবে প্রচারের সময় না দেখলেও ইউটিউবে দেখি। না দেখলে তো বুঝবো না কোথায় কী সমস্যা আছে।

বাংলানিউজ : অনেকে আপনার মধ্যে সুঅভিনেত্রীর ছায়া দেখছেন। এটাকে ধরে রাখার জন্য কী পরিকল্পনায় এগোবেন? 
শবনম ফারিয়া : দেখুন আমার শুরুটা হয়েছিলো মডেলিং দিয়ে। আমি যে নিয়মিত অভিনয় করবো তা কখনও ভাবিনি। একটি-দুটি কাজ করার পর ইতিবাচক সাড়া পেয়ে উৎসাহ পেলাম। তবে এখন বুঝতে পারছি, আমাকে আরও ভালো করা লাগবে। সেজন্য কাজ কমিয়ে দেবো। ইচ্ছে আছে, আগামী থেকে প্রতি ঈদে চারটার বেশি কাজ করবো না। ধারাবাহিকও দুটার বেশি হাতে রাখবো না। মান ধরে রাখার জন্য এ ছাড়া উপায় নেই।

বাংলানিউজ : এবার অন্য প্রসঙ্গে আসি। সদ্য মারা যাওয়া আরজে প্রত্যয় সামিউল কবিরের সঙ্গে আপনার ফেসবুক আলাপচারিতার স্ক্রিন শট নিয়ে বিতর্ক হয়েছে...
শবনম ফারিয়া : বিতর্ক কেনো হচ্ছে বুঝতে পারছি না। উনি আমার বড় ভাইয়ের মতো ছিলেন। আমার কোনো কাজ ভালো হলে তিনি উৎসাহ দিতেন। ওইদিন আমি একটি হতাশাজনক স্ট্যাটাস দিয়েছিলাম। প্রত্যয় ভাই ওটা দেখে আমাকে ইনবক্সে মেসেজ পাঠিয়েছিলেন। তখন আমাকে অনেক উৎসাহব্যঞ্জক কথাবার্তা বলেছিলেন তিনি। যিনি মানুষকে এমন অনুপ্রেরণা যোগালেন তার মৃত্যুর খবর শুনে থমকে গিয়েছিলাম। তাই অবাক হয়ে আমাদের আলাপের স্ক্রিনশট দিয়েছি। ওটা দেখেই অনেকে খবর প্রকাশ করে দিয়েছে। কিন্তু আমার সঙ্গে কেউ কথা বলেনি। খবর প্রকাশ করাকে খারাপ বলছি না আমি, কিন্তু এ ধরনের বিষয় নিয়ে খবর প্রকাশের আগে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মন্তব্য নেওয়া জরুরি ছিলো। যে আলোচনাটা এই স্ক্রিনশটকে ঘিরে হচ্ছে তা আমার বিব্রতকর।

বাংলানিউজ : স্ক্রিন শটটা দিলেন কী ভেবে?
শবনম ফারিয়া : আসলে ওইদিন রাতে প্রত্যয় ভাইয়া অনেক ভালো ভালো কথা বলে আমাকে উদ্বুদ্ধ করেছিলেন, অনুপ্রেরণা দিয়েছিলেন, তার আকস্মিক মৃত্যুর খবর জেনে মুষড়ে পড়েছিলাম। আমার ‘দুই অংশের শেষ একটাই’ নাটক দেখে তিনি বলেছিলেন, এই প্রজন্মের অনেকের মধ্যে এমন ভালো অভিনয় দেখেননি। তিনি আমাকে আপু ডাকতেন। তুই করে বলতেন। তার সঙ্গে আমার সম্পর্ককে ভুল ব্যাখ্যা দেওয়াটা ঠিক হয়নি। এ ধরনের খবর প্রকাশের আগে একটু ভাবা উচিত, আমাদেরও মা-বাবা আছে। একেকজনের পরিবার একেক রকম। আমার পরিবার রক্ষণশীল। খবরটা নিয়ে আমার আম্মুর কানে অনেক কথা এসেছে। এখন মনে হচ্ছে, স্ক্রিনশটটা দেওয়া ঠিক হয়নি।

বাংলানিউজ : আপনার তো ছোটবেলায় সাংবাদিক হওয়ার ইচ্ছা ছিলো, এখনও কি ইচ্ছাটা আছে?
শবনম ফারিয়া : এখনও আছে। সত্যি বলতে সাংবাদিক হওয়ারই লক্ষ্য ছিলো আমার। এই পেশাকে আমি শ্রদ্ধা করি।

বাংলাদেশ সময় : ১৯১৮ ঘণ্টা, অক্টোবর ০৫, ২০১৫
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।