ঢাকা, সোমবার, ২২ আশ্বিন ১৪৩১, ০৭ অক্টোবর ২০২৪, ০৩ রবিউস সানি ১৪৪৬

বিনোদন

কপিরাইট অফিসকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখার দাবি

বিনোদন ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৩০ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
কপিরাইট অফিসকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখার দাবি

কপিরাইট অফিসকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীনে ডিপিডিটি (ডিপার্টমেন্ট অব পেটেন্ট, ডিজাইন অ্যান্ড ট্রেডমার্ক)- একীভূত করার প্রস্তাবের  প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে কয়েকটি সাংস্কৃতিক সংগঠন। কপিরাইট অফিসকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অধীনে রাখার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানান তারা।



আজ বুধবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ‘কপিরাইট অফিস সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন রাখার দাবি’ শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এখানে ছিলেন বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরাম, এলসিএসগিল্ড, বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ড অ্যাসোসিয়েশান (বামবা), মিউজিক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (এমআইবি),  বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতি, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি এবং চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন ইউনিভার্সিটি প্রেস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক মহিউদ্দিন আহমেদ, বামবা’র সভাপতি হামিন আহমেদ, চলচ্চিত্র প্রযোজক-পরিবেশক সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক খোরশেদ আলম খসরু, এমআইবি’র সভাপতি আরিফুর রহমান, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার, বাংলাদেশ কপিরাইট অ্যান্ড আইপি ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী ব্যারিস্টার এবিএম হামিদুল মিজবাহ, কণ্ঠশিল্পী এন্ড্রু কিশোর, সুজিত মোস্তফা প্রমুখ।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়,  কপিরাইট অফিস এবং কপিরাইট আইনের আওতাধীন বিষয়বস্তু যেমন সংগীত, সাহিত্যকর্ম, চলচ্চিত্র, চিত্রকর্ম, কলা ও আলোকচিত্রসমূহ সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত এবং একে অপরের পরিপূরক। সেহেতু কপিরাইট অফিস এবং এর আওতাধীন বিষয় সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকাই যথার্থ। বক্তারা জানান, বিশ্বের ১২০টির বেশি দেশে কপিরাইট অফিস সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অধীনে রয়েছে। ডিপিডিটি অফিস কপিরাইট অফিসকে নিয়ন্ত্রণ করে এমন দৃষ্টান্ত বিরল।

সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা আরও বলেন, কপিরাইট অফিস সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় থেকে আলাদা করা হলে কপিরাইট বিষয়ক বর্তমানে চলমান উন্নয়নমূলক কার্যক্রম ব্যাহত হবে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের অন্যান্য দেশে মেধাস্বত্ত্ববিষয়ক আইনগুলোর মূলত দুটি ধারা আছে। সেটি হলো- ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইপি পেটেন্ট (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিজাইন ও ট্রেডমার্ক) এবং নন-ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইপি। কপিরাইট নন-ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইপি। তেল এবং পানি যেমন এক করা যায় না, ঠিক তেমনি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এবং নন-ইন্ডাস্ট্রিয়াল আইপি একসঙ্গে চলতে পারে না।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩১ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৪, ২০১৫
এসও/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।